1. admin@crimenews24.net : cn24 :
  2. zpsakib@gmail.com : cnews24 :
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অবৈধভাবে বালু তোলায় ভেকু মেশিন ও ট্রাক জব্দ, গ্রেফতার-১২ কমলগঞ্জে স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা- অস্ত্র হাতে রক্তাক্ত অবস্থায় থানায় হাজির স্বামী মৌলভীবাজার পৌরসভার উদ্যোগে প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা প্রদান মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে  গ্রেফতার  ৩ অনলাইন জুয়ার সাইট বন্ধের দাবি নতুনধারার জাতীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিপর্যয় – বিদ্যুৎহীন মৌলভীবাজারসহ সিলেট রাজশাহীতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার ভুল সিগন্যালে একই লাইনে দুই ট্রেন, অল্পের জন্য রক্ষা রাজশাহী মহানগরীতে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেপ্তার ২৫ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার ধান কাটতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে  শ্রমিকের মৃত্যু

রাজশাহীতে অবৈধ উপায়ে পোষা ও বন্য কবুতর শিকার

কাজী এনায়েত, রাজশাহী:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৪২ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

 

কবুতর বা পায়রা এক প্রকার জনপ্রিয় গৃহপালিত পাখি। এর মাংস মনুষ্যখাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশে প্রায় ৩০ প্রকার কবুতর রয়েছে। বাংলাদেশের সর্বত্র এসকল কবুতর রয়েছে। বাংলাদেশের জলবায়ু এবং বিস্তীর্ণ শস্যক্ষেত্র কবুতর পালনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।

কবুতর বাড়ি প্রকৃতি ও পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা ছাড়াও অল্প খরচে এবং অল্প ঝামেলায় প্রতিপালন করা যায়। বাংলাদেশে কবুতরের জাতের মধ্যে গিরিবাজ খুবই জনপ্রিয়। বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকার মানুষ কবুতর পালন করে থাকে।

প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্যের মাঝে লুকিয়ে আছে এক নিষ্ঠুরতার গল্প।

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার ন্যায় রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ এই সকল পোষা কবুতর পালন করে আসছে বছরের পর। সম্প্রতি রাজশাহী মহানগরীর মতিহার এলাকার কিছু অসাধু লোক এই কবুতর পালনের আড়ালে কবুতর সহ বিভিন্ন বন্য পাখি নিধনের পাইতারাই লিপ্ত হয়েছে। তারা বাশের তৈরী চং এর উপরে ফাস জাল ব্যবহার করে এক ধরনের বিশেষ ফাঁদ বানিয়ে প্রতিবেশীদের পোষা কবুতর সহ বিভিন্ন বন্য পাখি ধরে নিচ্ছে। এতে করে যেমন বন্য পাখি ধংস হচ্ছে অপর দিকে একে অপরের সাথে কলহের সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় ফাঁদ দিয়ে কবুতর সহ অসংখ্য বন্যপাখি নিধন করছে অসাধু একটি চক্র। এর পর ফাঁদে ধরা প্রতিবেশীদের পোষা কবুতর গুলো ধরে অন্য এলাকায় বিক্রয় করে দেয় এবং বন্যপাখি গুলো সংগ্রহ করে তা রান্না করে খাওয়া হয়। এভাবেই শত শত পোষা কবুতর নিধন করছে চক্রের সদস্যরা।

রাজশাহী মহানগরীর মতিহার ও কাটাখালী থানা এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন প্রকৃত কবুতর পালনকারীর অভিযোগ করেন।
অভিযোগ করে তারা বলেন, আমরা মতিহার থানার ২৮,২৯ ও ৩০ নং ওয়ার্ডের কিছু কবুতর পালন প্রেমী যারা ২০ থেকে ২৫ বছর যাবৎ শখের বসে কবুতর লালন পালন করে আসছি। বর্তমানে আমাদের সমাজে কিছু অসাধু মানুষ নাম মাত্র কবুতর পালন করছে। যারা লম্বা লম্বা বাশ ব্যবহার করে তাতে জাল দিয়ে ফাঁদ তৈরী করে নিরীহ কবুতরসহ পাখি, ঘুঘু, বুনো কবুতর, মাছরাঙ্গাপাখি, টিয়াপাখি ইত্যাদি প্রতিনিয়ত স্বীকার করে চলছে। এতে একে অপরের সঙ্গে যেমন কোন্দল তৈরী হচ্ছে এবং সমাজের পরিবেশগত কিছু ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। অনেক কম বয়সী ছেলেরা যারা এর সাথে জড়িত হয়ে নিজেদের লেখা পড়া নষ্ট করছে। কবুতর ধরে অধিক পরিমানে অর্থ দাবি করছে। কবুতর যেহেতু সকলের প্রিয় এবং শখের জিনিস তাই স্বাভাবিক এতে সামাজিক কোন্দল তৈরী হচ্ছে। শখের এই কবুতরকে কেন্দ্র করে যেটা একদমই কাম্য নয়।

তারা আরো বলেন আমরা ২৮,২৯ ও ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সুপারিশ নিয়ে, রাজশাহী বন্য প্রাণী অধিদপ্তর, স্থানীয় থানা ও জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছি।

তবে অভিযোগ পেয়ে গত কয়েকদিন আগে এলাকায় ঝটিকা অভিযান করে বেশ কয়েকটি অবৈধ ফাঁদ নামিয়ে নেয় মতিহার থানার সেকেন্ড অফিসার পলাশ।

এবিষয়ে মতিহার থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই পলাশের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই ফাদ গুলো কিছু নামিয়ে ছিলাম আবারও উঠিয়েছে এটা আমি শুনেছি। যতদ্রুত সম্ভব আমরা এগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

রাজশাহী মহানগরীর ২৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহের হোসেন সুজার কাছে উপরোক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডের কয়েকজন বাসিন্দা এই বিষয়টা আমাকে জানিয়েছেন এবং আমি তাদের করা অভিযোগ পত্রে সুপারিশ করেছি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রভাষক বলেন, আমাদের দেশ এমনিতেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর পর যদি নির্বিচারে পাখি নিধন করা হয়, তবে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাবে। ফলে পরিবেশের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। তাই পাখি হত্যা বন্ধে প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

রাজশাহী প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জেলা কর্মকর্তা ড.জুলফিকার মো. আখতার হোসেন বলেন, আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। পোষা কবুতর হোক বা বন্য পাখি হোক, পাখি হত্যা করলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে এক বছর কারাদণ্ড অথবা এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। একই ব্যক্তি আবারো ওই অপরাধ করলে দণ্ড দ্বিগুষ হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর ....
© All rights reserved © 2022 crimenews24.net
Design & Developed By : Anamul Rasel