বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৫ অপরাহ্ন
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা কেরুজ চিনিকল কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে বেতন উত্তোলন করার ঘটনায় চার্জশিট গঠন করা হয়েছে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর রোববার দুপুরে দর্শনা কেরুজ কর্তৃপক্ষের সংস্থাপনা বিভাগ এই চার্জশিট গঠন করেছে। চার্জশিট গঠনের ৭ দিনের মধ্যে অভিযুক্ত দর্শনা পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক লোমানের লিখিত জবানবন্দি চেয়েছে কর্তৃপক্ষ। জবানবন্দি শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন।
দর্শনা কেরু কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, লোমান দর্শনা কেরু অ্যন্ড কোম্পানি চিনিকলের মৌশুমি কর্মচারী। আখ মাড়াই মৌশুম চলাকালীন ইক্ষু বিভাগে চাকরি করেন। বছরের বাকি মাসগুলো লোমানের মতো অনেক কর্মচারীকে বিভিন্ন দপ্তরে দৈনিক হাজিরার বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক পোস্টিং দেয়া হয়। তেমনি ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসান লোমান কেরু জৈব সার কারখানায় চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করে আসছিল। গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩-২৮ তারিখ পর্যন্ত শিক্ষা সফরের নামে বিনা ছুটিতে পরিচিতজনদের সাথে তিনি কক্সবাজার অবস্থান করেন। এদিকে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে লোমান কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে তার হাজিরা শিটে ২৩-২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ৬ দিনের হাজিরা কর্তন করা হয়। মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন সাহা এবং ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মো. জাহিদুল হক টুটুল স্বাক্ষরিত মাসিক হাজিরা শিট বেতন শাখায় পাঠিয়ে দেয়।
একই বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করায় লোমান হাজিরা শিটটি সংগ্রহ করে তা নষ্ট করে ফেলে এবং আরেকটি নতুন হাজিরা শিট তৈরি করে পুরো মাসের হাজিরাসহ কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে বেতন শাখায় জমা দেয়। পরে অন্যান্য সহকর্মীরা বেতন তুলতে গিয়ে দেখেন লোমান পুরো মাসের হাজিরা পেলেও তারা ৬ দিনের হাজিরা ৩ হাজার ৩৫৪ টাকা কম পায়। তখন বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে অন্যান্য শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির মহাব্যাবস্থাপক (প্রশাসন) ইউসুফ আলী বলেন, এ ঘটনায় কামরুল হাসান লোমানকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় চার্জশিট করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
