পাবনার ভাঙ্গুড়ায় কোনো ধরণের টেন্ডার বা বৈধ অনুমতি ছাড়াই রেল লাইনের পাশ থাকা প্রায় ত্রিশটি গাছ কেটে সাবাড় করা হয়েছে। রেলওয়ের বড়াল ব্রিজ এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মচারী গাং ম্যাট লাইন মিস্ত্রি আশরাফ আলীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। কাঠ ব্যবসায়ী আফছার আলীর যোগশাজসে তিনি এ কাজ করেছেন। গাছগুলো গোপনে কেটে নেওয়ার স্থানীয়দের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, আশরাফ আলী বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মচারী। তার পদবী (মিস্ত্রী) গাং ম্যাট সুপারভাইজার। ঈশ্বরদী-জয়দেবপুর রুটের ভাঙ্গুড়া স্টেশন থেকে দিলাপাশার স্টেশনের কাছাকাছি পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার লাইন দেখা শোনার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এর মধ্যে রেল লাইনে কোনো কোনো স্থানে দুই ধারেই রয়েছে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী বিভিন্ন ধরণের ফলদ গাছ যেমন, কাঁঠাল, আমসহ নানান প্রজাতির কাঠের গাছ। সম্প্রতি বড়ালব্রিজ স্টেশনের পূর্ব থেকে শরৎনগর স্টেশনের মধ্যে থেকে কাঁঠাল, আম ও বিভিন্ন কাঠের গাছসহ প্রায় ত্রিশটির মত গাছ শ্রমিক দিয়ে কেটে গাছের ধর গুলি বিভিন্ন ‘স’ মিলে রেখেছেন। এ ক্ষেত্রে কাঠ ব্যবসায়ী আফছার আলীর যোগশাজসে তিনি এ কাজ করেছেন। তবে রেলওয়ের এই কর্মচারীর দাবী , সিগন্যালে সমস্যা হওয়ার কারণে উপরে কথা বলে তিনি মৌখিক অনুমতি পেয়ে এই গাছ গুলি কেটেছেন। কিন্তু গাছ কাটার লিখিত অনুমতি কিংবা বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারেন নি। গাছ গুলি কাঠ ব্যবসীয় আলছার আলী সাথে যোগসাজশে তিনি মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রি করে টাকা তিনি পকেটস্থ করেছেন বলে এমন তথ্য রয়েছে। এতে রেল বিভাগ হারিয়েছে তার রাজস্ব।
স্থানীয়দের দাবী, গাছগুলি রেললাইনে সমস্য তৈরি করলে সরকারি নিয়ম মেনে টেন্ডারের মাধ্যমে করলে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব পেতেন অন্য দিকে যে কয়েকটি রেল লাইনের জন্য সমস্যা হচ্ছে শুধু সেই গাছ গুলি কাটা হত। এতে তিনি নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী গাছ কাটার সুযোগ পেতেন না। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সৃদূষ্টি কামনা করছেন।
ঘটনার বিষয়ে রেলওয়ের বড়াল ব্রিজ এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত অভিযুক্ত কর্মচারী গং ম্যাট লাইন মিস্ত্রি আশরাফ আলী ১১টি কাঁঠাল, ৩টি আম গাছ ও কিছু বড়ই গাছসহ কিছু গাছ কাটার কথা স্বীকার করেছেন। তবে সরকারের রাজস্ব খাতে এ সংক্রান্ত একটি পয়সাও জমা হয়নি বলে স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া স্টেশন মাস্টার আব্দুল মালেক বলেন, টেন্ডার ছাড়া তিনি এত গাছ একবারে কাটতে পারেন না। প্রয়োজন হলে গাছের ডাল কাটতে পারেন কিন্ত এত গাছ একবারে কিভাবে তিনি কাটলেন তা বোধগম্য নয়।
গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ের বিভাগের সিরাজগঞ্জ (পি ডাব্লিউ) আহসান হাবিব বলেন, পরে কথা বলছি বলে মোবাইল ফোন রেখে দেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, টেন্ডার ছাড়া সরকারি গাছ কাটার কোন নিয়ম নেই। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ জাতীয় আরো খবর ....