সাহীন উদ্দিন আকাশ উপজেলা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ১নং নওপাড়া ইউনিয়নের পুরান তাহেরপুর বর্তমান মেম্বার আব্দুল মালেক এর বিরুদ্ধে একই ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের আব্দুস সোবাহান (টগর) এর টাকা জালিয়াতি করার কারনে ১নং নওপাড়া ইউনিয় পরিষদের একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আব্দুল মালেক মেম্বারের সাথে আলিপুর গ্রামের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার নির্বাচনের পরবর্তীতে পরিচয় হয়। পরিচয় পরবর্তীতে তার সাথে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছা: সাদিয়া সুলতানা আখির বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ততার কারনে মহিলা মেম্বারের বাড়িতে আশা যাওয়ার প্রেক্ষিতে টগরের সাথে পরিচয় হয়। মোছা: সাদিয়া সুলতানা আখি একটি প্রজেক্ট পায় ( যাহার সভাপতি ছিল ০৪,০৫,০৬ নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছা: সাদিয়া আখি ও সেক্রেটারি ছিলেন আ: মালেক ইউপি সদস্য ০৩ নং ওয়ার্ড পুরান তাহেরপুর) যাহা আলীপুর হিন্দু পাড়ার ( গির্জা হতে হিন্দু পাড়া পর্যন্ত) রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হলে সাদিয়া সুলতানার কোনরুপ নগদ ক্যাশ না থাকায় মো: আব্দুস সোবাহান ( টগর) রাস্তাটি তৈরিতে সার্বিক সহযোগিতা করছিলেন।
কাজটি পথিমধ্যে টাকার অভাবে আটকে গেলে আ: মালেক মেম্বার ও সাদিয়া আখি মেম্বার মো: আব্দুস সোবাহান ( টগর) এর কাছে টাকা ধার নেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। টগর আলীপুর গ্রামের মো: আ: সামাদ মোল্লার ৩য় ছেলে মো: বাবুল মোল্লার মাধ্যমে ৫০,০০০ হাজার টাকা ১৯/১/ ২৩ তারিখে প্রদান করেন।
বাবুল মোল্লার রাইচ মিলে উপস্তিত ব্যাক্তিদের সামনে টাকা গুনে মো: আ: মালেক মেম্বারের হাতে তুলে দেন। শর্ত ছিল যে ০৮ ( আট) দিনের ভিতরে টাকাগুলো মো: আব্দুস সোবাহান (টগর) কে ফেরৎ দিতে হবে।এবং টাকার দ্বায়িত্ব নেন অভিযুক্ত আ: মালেক মেম্বার।
এদিকে মোঃ আব্দুস সুবাহান(টগর)
বলেন টাকা ফেরৎ দেয়ার দিন বা ডেট বহুদিন অতিবাহিত হলেও টাকা ফেরৎ না দোয়াতে আমি নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ করি।
এ অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য আঃ মালেকের সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার নামে লিখিত অভিযোগ গুলো ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমার সাথে তার কোন টাকার লেনদেন হয় নি। আমাকে উদ্দেশ্য পণিত ভাবে সমাজে ছোট করার জন্য এই অভিযোগটি করেছেন।
এবিষয়ে নওপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুল আলম শফি সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগের ব্যাপারে আমি জানি, খুব দ্রুত সবাইকে নিয়ে বসে বিষয়টির সমাধান করা হবে। বলে জানান তিনি