পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে অন্তঃসত্ত্বা তাবাচ্ছুম জাহান বর্ণালী ফিরে পেল তার সংসার ও শিশু সাদিকা ফিরে পেল পিতৃস্নেহ
চুয়াডাঙ্গা জীবননগর থানাধীন কন্দপর্দিয়া গ্রামের আরশাদ আলীর কন্যা দুই সন্তানের জননী ও অন্তঃসত্ত্বা তাবাচ্ছুম জাহান বর্ণালীর সাথে একই থানাধীন দেহাটি গ্রামের হাসেমের পুত্র আবু হুরাইরা নিশানের ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। সংসার জীবনে তাদের দুইটি কন্যা ও পুত্র সন্তান রয়েছে এবং বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে পারিবারিক ঝগড়া-বিবাদ হয়। একপর্যায়ে তাবাচ্ছুম জাহান বর্ণালীকে তার বৃদ্ধ পিতার বাড়িতে ছেলে-মেয়েসহ পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
অসহায় তাবাচ্ছুম জাহান বর্ণালী স্বামী ও সুখের সংসার ফিরে পাওয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সম্মানিত অভিভাবক আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার মহোদয় উক্ত অভিযোগটি ‘উইমেন সাপোর্ট সেন্টার’-এর মাধ্যমে অদ্য ৩০.০৭.২০২৩ খ্রি: উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে কর্মরত এএসআই(নিঃ) মিতা রানী সঙ্গীয় নারী পুলিশ সদস্যসহ তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়। অবশেষে তাবাচ্ছুম জাহান বর্ণালী ও আবু হুরাইরা নিশান সব বিবাদ ভুলে সুখে-শান্তিতে সংসার করতে সম্মত হয়। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে অন্তঃসত্ত্বা তাবাচ্ছুম জাহান বর্ণালী ফিরে পায় তার সংসার ও শিশু সন্তানেরা ফিরে পেল পিতৃস্নেহ।