ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও’) এর নাম ভাঙ্গিয়ে জয়নুল আবেদীন নামে এক কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি সেই কথিত সাংবাদিক জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে চাদা দাবীর অভিযোগ এনে ইউএনও বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সেই কথিত সাংবাদিক জয়নুল আবেদীন ও অভিযোগকারী ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ইউএনও অফিসে ডাকা হয়। পরে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনানী হলে কথিত সাংবাদিক জয়নুল আবেদীন দোষী সাব্যস্ত হয়।
ভবিষ্যতে চাদা বাজিসহ অপসাংবাদিকতা কাজ আর করবে না বলে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মুচলেকা দিয়ে চাদা দাবীর অভিযোগ থেকে মুক্তি পায়।
উল্লেখ, বুধবার (১৯ জুলাই) রাত্রী ৮ টায় উপজেলার যাদুরাণী বাজার শফিকুল বেকারীতে গিয়ে টাচ মোবাইল দিয়ে মালামালের ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে থাকে। এসময় বেকারীর মালিক শফিকুল ভিডিও ও ছবি ধারণের কারণ কথিত সাংবাদিক জয়নুল আবেদীন এর কাছে জানতে চাইলে সাংবাদিক জয়নুল আবেদীন বলেন ইউএনও স্যার কয়েক দিন ধরে আমাকে তোমার বেকারীতে আসতে বলছে। তাই আজকে এখানে আসছি।
পরে কথিত সাংবাদিক জয়নুল আবেদীন সেই বেকারীর মালিক শফিকুল ইসলামের কাছে ১০ হাজার টাকা চাদা দাবী করেন। আর টাকা না দিলে তার দোকানের ভিতরে তোলা ভিডিও ও ছবিগুলো ইউএনও’র কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। এতে তার কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে বেকারীর মালিক শফিকুল ইসলাম কথিত সাংবাদিক জয়নুল আবেদীনের টাকা দাবী করার বিষয়টি ইউএনও’কে ফোন দিয়ে অবহিত করার কথা বলা মাত্রই কথিত সাংবাদিক জয়নুল আবেদীন ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরে এই বিষয়ে বেকারীর মালিক শফিকুল বাদী হয়ে উপজেলার কামারপুকুর গ্ৰামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে ও হরিপুর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের সভাপতি।
কথিত সাংবাদিক জয়নুল আবেদীন এর বিরুদ্ধে চাদা বাজির অভিযোগ এনে হরিপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের সভা কক্ষে নিজের ভুল স্বীকার করে দুই জন স্বাক্ষীর উপস্থিতে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন কথিত সাংবাদিক জয়নুল আবেদীন।
হরিপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান জানান, মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন কথিত সাংবাদিক জয়নুল আবেদীন। তার বিরুদ্ধে বহু মানুষকে হুমকি দিয়ে চাদা বাজির অভিযোগ রয়েছে।সাংবাদিকতার মত মহান পেশা এদের কারণে কলংকিত।