রাজশাহী জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ আলোচিত সংসদীয় আসন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর)। বর্তমান আসনটির এমপি আয়েন উদ্দিন। তিনি দুই বারের এমপি হলেও এখনো তেমন জনমত গড়ে তুলতে পারেন নি তার নিজ এলাকায়। ফলে আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে চরম মনোনয়ন আতঙ্কে রয়েছেন এমপি আয়েন উদ্দিন। আর অন্যদিকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুরফুরে হয়ে মাঠে নৌকার পক্ষে মাঠ গোছাতে ব্যস্ত জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।
জানা গেছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সহ ডিজিএফআই, এনএসআইসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে এমপি মন্ত্রীসহ সাবেক ও বর্তমান নেতাদের নিজ নিজ এলাকাজুড়ে কেমন জনপ্রিয়তা ব্যক্তি ইমেজ রয়েছে চলছে তার চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ। প্রতিনিয়ত প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা হচ্ছে এমপি মন্ত্রী ও হেভিওয়েট নেতাদের আমলনামা। এতে করে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের তরুণ নেতৃত্বের অধিকারী গণমানুষের নেতা আসাদুজ্জামান আসাদের উপরে এবার কেউ জনমত গড়ে তুলতে পারেনি। বরং আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে গিয়ে কেন্দ্রের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন এমপি আয়েন উদ্দিন বিরোধীরা।
পবা-মোহনপুর উপজেলার তৃণমূল নেতাকর্মী থেকে শুরু করে জনসাধারণ মানুষও আশা করছেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার নতুন ও তরুণ মুখ আসাদুজ্জামান আসাদকে মনোনয়ন দিবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
পবা-মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক তৃণমূল জনপ্রিয় নেতারা জানান, পবা-মোহনপুর আসনে বর্তমান এমপি আয়েন উদ্দিন ক্ষমতায় আসার পর থেকে শুরু করেন, এলাকার গরীব অসহায় দরিদ্র মানুষের জমি দখল, নিপীড়ন নির্যাতন। দলের জনপ্রিয় নেতাদের মনোনয়ন না দিয়ে অযোগ্য হাইব্রিড নেতাদের অর্থের বিনিময়ে দিয়েছেন মনোনয়ন।
যার ফলে এমপি আয়েন উদ্দিনের কারণে দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন অনেক নেতাকর্মীরা। তাদের ক্ষোভ দলের দুর্দিনে যারা দলের জন্য জীবন বাজি রেখে হরতাল মিছিল জনসমাবেশ করেছে, যারা বিএনপির আমলে নেতাকর্মীদের মারপিট করেছে আজ তাদের বঞ্চিত করে এমপি আয়েন উদ্দিন বিএনপির জামাতের নেতাকর্মীদের মনোনয়ন দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বার বানাচ্ছেন। যার জন্য বর্তমানে আওয়ামী লীগের মধ্যে হাইব্রিড নেতাদের দাপটে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে প্রকৃত নেতারা। অথচ আসাদুজ্জামান আসাদ এমপি মন্ত্রী না হয়েও প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামী লীগের নিপীড়িত নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সকল প্রকারের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
মোহনপুর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুরঞ্জিত সরকার বলেন, ষড়যন্ত্র করে কখনো কেউ সফল হতে পারেনি, বরং ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরাই লেজ গুটিয়ে ঘরে ঢুকেছে। তেমনি এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান জালিম এমপি আয়েন উদ্দিনও ঘরে ঢুকবে। যে এমপি হওয়ার পর থেকে নেতাকর্মীদের কথা না ভেবে নিজের আখের গুছাইতে গিয়ে অসহায় দরিদ্র মানুষের জমি দখলবাজী করে দখল করেন তাকে পবা মোহনপুরের মানুষ কখনোই আর এমপি হিসেবে দেখতে চাইনা।
এমপি আয়েন উদ্দিন আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে যতই চক্রান্ত করুক না কেন এবার পবা-মোহনপুর আসনে আসাদুজ্জামান আসাদের কোন বিকল্প নেই। আর গড়ে উঠারও সেই সম্ভবনাও নাই।
পবা-মোহনপুর উপজেলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি একটাই, আসাদুজ্জামান আসাদকে পবা-মোহনপুর আসনের এমপি প্রার্থী হিসেবে নৌকার মাঝি দেখতে চাই। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। মনোনয়ন না পেলেও আমি আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থকদের সাথে থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে যাবো। এমপি আয়েন উদ্দিনের ফোনে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।