সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পাখি খাতুন নামে তরুণীকে
(১৫) ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে আপন খালুর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের পংখারুয়া গ্রামে আবুল কালামের মেয়ে পাখি খাতুনের সাথে।,
আবুল কালাম তার ছোট শালীকা মোছা: সিমা খাতুন কে প্রায় ১২ বছর পূর্বে সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার নলুয়া গ্রামের জয়নাল ফকিরের ছেলে মোঃ বকুল হোসেন বকু এর সাথে বিবাহ দেয়, তার পর থেকেই লক্ষ করা যায়, বকুল মদখোর, গাজাখোর,হিরোইনসহ জুয়া ও নারী কেলেংকারীসহ সকল নেশায় আশক্ত তিনি। নেশা ও জুয়া খেলার জন্য আসবাবপত্রসহ স্ত্রীর গহনাগাটি বিক্রি করে দিত। স্ত্রী বাধা দিলে সে তার স্ত্রীকে মারধর করতো প্রতিনিয়তই এবং ঠিক মত ভাত কাপর দিতো না। মাঝে মধ্যে ভায়রা ও শোশুরের কাছে জুয়া ও নেশার টাকার জন্য চাপ দিতো এমনকি টাকা জোর করে নিতো হঠাত একদিন ভায়রা আবুল কালামের কাছে ৫০ হাজার টাকা চায় দিতে অ-স্বীকার করলে বকুল বলে টাকা না দিলে তার পরিবারে ক্ষতি করবে।,
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, কালাম ও তার ভায়ড়া বকুলের পরিবার নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে মিঠাবো গ্রামে অনন্ত পেপার মিলে কাজ করতো।ভায়রার বেগতি দেখে তার ১৫ বছরের মেয়ে ও ৭ বছরের ছেলেকে গ্রামের বাড়িতে রেখে যায়,তার কয়েকদিন পর ১১-০৩-২৩ইং বকুল সবার অজান্তে গ্রামে বাড়ী দলবল সাথে সি এন জি নিয়ে এসে আপন ভায়রার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ঢাকার খিলগাঁও থানার সিপাহী বাগ বস্তির গোপন কামরায় বন্দী করে রাখে এবং প্রতিদিন মেয়েটির উপর অমানবিক নির্যাতন ও ধর্ষন চালায়। তার পরে বকুল মোবাইলে তার ভায়রা আবুল কালামের কাছে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। অপর দিকে বকুলের বাবা জয়নাল ফকির, আবুল কালাম তার শোশুর ও শালিকার বিরুদ্ধে গুম মামলা দায়ের করে। মামলা (পিটিশন) নং ৬৭/২৩ উল্লাপাড়া তাং ২৮-০৪-২৩ইং মামলাটি সিরাজগঞ্জ সি. আই.ডির হাতে তদন্ত দেওয়া হয়। ইতি মধ্যে বকুলের স্ত্রী সিমা খাতুন আমলি আদালত উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ নং ১৩৪/২৩ এই মামলায় বকুলের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারী হয় ১৫/০৫/২৩ তারিখে এদিকে সি আই ডি ইন্সপেক্টর মোঃ আবু সাইদের নেত্রীত্বে ১২/০৬/২৩ তারিখে অভিযান চালিয়ে ঢাকা খিলগাঁও থেকে গ্রেফতার করে পাখি খাতুনকে উদ্ধার করে তার বাবা আবুল কালামের হাতে তুলে দেয়।,
এদিকে বকুলের নামে ওয়ারেন্ট শাহজাদপুর থানায় এলে বকুল কে বাড়ীতে পুলিশ না পেয়ে ওয়ারেন্ট ফেরৎ পাঠিয়ে দেয় এস পি অফিসে। মেয়েটি অপহরণ হওয়ার পরের দিন মেয়েটির বাবা উল্লাপাড়া থানায় বকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে, কিন্ত উল্লাপাড়া থানার পুলিশ অভিযোগ নথি ভুক্ত না করে পকেট কেচ হিসাবে রেখে দেয়। তিন মাসের মধ্যে ৬ টি অভিযোগ মেয়ের বাবা কালাম জমা দেয়।থানার পুলিশ শুধু সময় ক্ষেপন করতে থাকে এ ব্যাপারে বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির লিটন ও উল্লাপাড়া সার্কেল অফিসার অবগত আছেন,। পরে যখন সি আই ডি গ্রেফতার করে আসামি বকুলকে আদালতে প্রেরন করেন তখন কোন থানায় অভিযোগ না থাকায় সেই দিনই আসামি ছাড়া পেয়ে যায়।এই দিকে সি আই ডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার অনেক পূর্বেই মেয়ের বাবা বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ নারী- শিশু আদালতে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে মামলা নং ১১৭/২৩ সে মামলায় বিজ্ঞ বিচারক উল্লাপাড়া থানায় তদন্তের ভার দেয়।কিন্ত নথি উল্লাপাড়ায় আসে ততক্ষণে আমাসী ছাড়া পেয়ে বাহিরে ঘুরে বেড়াচ্ছে নির্ভয়ে – নির্বিঘ্নে, মেয়ে টা থানায় তিন মাসের ভয়াবহ বিবরণ দিয়ে কেদে কেদে বলে তিন মাসে শতাধিক বার ধর্ষন করা হয়েছে আমাকে এর কঠিন বিচার চাই। মেয়ের বাবাসহ এলাকাবাসী ধর্ষনকারী বকুলের ফাসির দাবি করেন।