খাগড়াছড়ির রামগড়ের সোনাইপুল বাজারে এক ব্যবসায়ীর গুদামে ৫৭ হাজার লিটার সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুদের সন্ধান পেয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির দায়ে মেসার্স খাঁন ট্রেডার্স নামে ঐ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক ফজলুল করিম পাটোয়ারীকে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
এ সময় একই অপরাধে ঐ বাজারের মেসার্স আলমগীর স্টোরকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো: ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত’র নেতৃত্বে পরিচালিতা ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (৬ মে) বিকালে আকস্মিক অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক খোন্দকার মো: ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত বলেন, অবৈধ মজুদের গোপনসূত্রে খবর পেয়ে রামগড় পৌরসভার সোনাইপুল বাজারের মেসার্স খাঁন ট্রেডার্স নামে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে প্রথমে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সোনাইপুল বাজারের বিভিন্ন স্থানে ঐ প্রতিষ্ঠানের মালিক ফজলুল করিম পাটোয়ারীর ৪টি গুদামের সন্ধান পাওয়া যায়। ৪টি গুদামে প্রায় ৫৭ হাজার লিটার সয়াবিন তেলের মজুদ পাওয়া যায়।
তিনিআরও জানান, ঔ ব্যবসায়ীর কোন ডিলিং লাইসেন্স নেই। ডিলিং লাইসেন্স ছাড়া ডিলারশীপ ব্যবসা অবৈধ। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফার জন্যই এভাবে বিপুল পরিমাণ তেল মজুদ করা হয়েছে। একই বাজারের মেসার্স আলমগীর সেটার নামে আরেকটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানেও অনুরূপ অভিযান পারিচালনা করে অবৈধ মজুদ পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, ডিলিং লাইসেন্স ব্যতীত ভোজ্য তেল এর ডিলার হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করা এবং সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুদের অপরাধে অত্যাবশকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৫৬ এর ৬ ধারায় বাজারের মেসার্স খাঁন ট্রেডার্সকে এক লক্ষ টাকা এবং মেসার্স আলমগীর স্টোরকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো: জসিম উদ্দিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো: ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত বলেন, এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।