দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর দিক নির্দেশনায় ১০/০৭/২০২৩ খ্রিঃ ১২.৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২’র স্পেশাল কোম্পানী এবং সিপিসি-১,কুষ্টিয়ার আভিযানিক দল কুষ্টিয়া জেলার সদর থানাধীন ত্রিমোহনী বারখাদা এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামী মোঃ মুকুল হোসেন (৩৫) পিতা-মৃত হাবিবর রহমান, সাং-এনায়েতপুর (গুচ্ছগ্রাম), থানাঃ উল্লাপাড়া, জেলা-সিরাজগঞ্জ আসামীর বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার মামলা নং-৩০ তারিখ-১৬/০৩/২৩, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধণী ২০০৩) এর ৯ (১) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
আসামী মোঃ মুকুল হোসেন (৩৫) ভিকটিম মোছাঃ শাপলা খাতুন (২৫) কে ২০০৮ সালে ইসলামী নিয়ম অনুসারে বিবাহ করে। স্বামীর সাথে ঘর-সংসার করা কালে বনি বনা না হওয়ায় ২০২০ সালে আসামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। আসামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পরে আসামী বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে ফুসলাইতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামী ভিকটিমকে পুনরায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে। আসামী পুনরায় ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করলে আশেপাশের স্থানীয় লোকজন ভিকটিম ও আসামীকে আটক করে। স্থানীয় লোকজন তাদের মধ্যে বিয়ের ব্যবস্থা করলে আসামী মোবাইল ফোনে কথা বলার ভঙ্গিতে গোপনে পলিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম বাদী হয়ে উল্লাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।