1. admin@crimenews24.net : cn24 :
  2. zpsakib@gmail.com : cnews24 :
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পুরাতন সাতক্ষীরা মোড়ে গণআন্দোলন জোটের পথসভা মৌলভীবাজারে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রী চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত  মৌলভীবাজারে পুলিশ সুপার’র সাথে সাংবাদিকদের  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে বেসরকারি ৩ ক্লিনিকের দুই লাখ টাকা জরিমানা  আলমডাঙ্গায়  সংবাদ সম্মেলন করেছে ফিড ব্যাবসায়ী বাবুলার রহমান নারায়ণগঞ্জে আন্তর্জাতিক সিসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ উপলক্ষে তরুণদের র‍্যালি, মানববন্ধন তানোর মহিলা ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  তানোরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ বহাল রাখতে নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যানের স্মারকলিপি প্রদান রায়পুর, হাসাদহ এবং  কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্প আকস্মিক পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার

বাড়ছে পানি, হাট-বাজারে চাইঁ,খলসুনি বা ধুন্দী ফাঁদ বিক্রির ধুম

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩
  • ১৩৯ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

বাড়ছে নদ-নদীর পানি, হাট-বাজারে ফাঁদ বিক্রির ধুম
মৌসুমি বায়ুর প্রভাব ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা, করতোয়া, ফুলজোড় ও বড়ালসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানিবৃদ্ধির ফলে জেলার খাল-বিল ও চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে নতুন পানিতে টইটম্বুর হচ্ছে। নতুন এই পানিতে ছুটে আসছে নানা প্রজাতির মাছ। পানি বৃদ্ধির এই মৌসুমে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাছ ধরার ফাঁদ বিক্রিও,
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার কাজিপুরের সোনামুখী, শুভগাছা, গান্দাইল, রায়গঞ্জের নিমগাছী, হাট-পাঙ্গাসী, হাসিল, তাড়াশের নওগাঁ, গুল্টা, মহিষলুটি, উল্লাপাড়ার উধুনিয়া, উনুখা, কয়ড়া, কুচিয়ামারা, কৃষকগঞ্জ, গয়হাট্টা, চৌবিলা, ধরইল, বড়হর, কয়ড়া, সলঙ্গা ও বলিয়া বাজার, শাহজাদপুরের তালগাছি, প্রতাবগঞ্জ, জামিরতা, বেলতৈল, কাদাইবাদলা, খুকনী, রূপসী, হাট-পাচিল, পোরজনা, বেলকুচিতে সোহাগপুর, সমেশপুর, কান্দাপাড়া, দৌলতপুর, মুকুন্দগাঁতী ও তামাই, কামারখন্দের কাটাখালী, কালীবাড়ী, গাড়াবাড়ী, চৌবাড়ী, জামতৈল, ঝাঐল, পাইকশা ও নান্দিনা, ভদ্রঘাট, রায়দৌতপুর ও সদর উপজেলার রতনকান্দি, কালিয়াহরিপুর, বহুলী, শিয়ালকোল, ছোনগাছা, বনবাড়িয়াসহ গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে বিক্রি শুরু হয়েছে মাছ ধরার দেশি বিভিন্ন সরঞ্জাম। এসব হাটে পাইকারি ও খুচরা ক্রয়-বিক্রয় করা হয় মাছ ধরার ফাঁদগুলো।
ক্রেতা সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে খাল-বিলসহ বাড়ির আশপাশের ছোট-বড় জলাশয়ে নতুন পানিতে ভরে গেছে। একই সঙ্গে নিম্নাঞ্চলেও পানিতে ডুবে যাচ্ছে,। এসময় নদীসহ বিভিন্ন পুকুরের মাছ ছুটে প্রবেশ করছে খাল-বিলসহ জলাশয়ে। মাছ ধরার জন্য বাঁশের তৈরি এসব চাইঁ, খলসুনি বা ধুন্দী দিয়ে (মাছ ধরার ফাঁদ) সহজেই মাছ ধরা যায়। বছরের এই সময়টা মাছ ধরার এই ফাঁদ বেশি কেনা-বেচা হয়। এই মৌসুমে কেনা একেকটি বাঁশের মাছ ধরার ফাঁদ প্রায় এক বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
চলনবিল এলাকার মাছ শিকারি রফিক, শাহিন, রেজাউল ও বকুল জানান, বৃষ্টিতে এলাকার বিভিন্ন স্থানের ডোবা ও খাল-বিল পানিতে ভরে গেছে। এই সময় তেমন কোনও কাজ থাকে না। জীবন-জীবিকার জন্য কাজ-কর্ম না থাকায় এসময় বেছে নেওয়া হয় অন্য পেশা। মাছ ধরার এক প্রকার যন্ত্র, চাইঁ, খলসুনি ও ধুন্দীর চাহিদা বেড়েছে। স্থানীয় হাট থেকে এই যন্ত্রগুলো ক্রয় করে মাছ ধরার কাজে ব্যবহার শুরু হয়েছে।
উল্লাপাড়া উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামের শুভ কর্মকার জানান, প্রথমে বাঁশ কাটা, শলাকা তৈরি। পরে সেগুলো শুকিয়ে নেওয়া হয় হালকা রোদে। পচানো তালের ডাগুরের আঁশ দিয়ে খিল বান দেওয়া হয়। এসব কাজে গৃহবধূ থেকে শুরু করে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও সহায়তা করে থাকে। এই ফাঁদ বোনার কাজে সকাল-সন্ধ্যা ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এ ফাঁদ দিয়ে চিংড়ি, পুঁটি, খৈলশা, গুচি, ট্যাংরা মাছ শিকার করা হয়। এতে খাবারের জন্য বাজার থেকে মাছ কিনতে হয় না অনেকেরই’
রায়গঞ্জের সোনাখাড়া গ্রামের ফাঁদ তৈরির কারিগর বাশুদেব জানান, একটি বাঁশের দাম ২৫০-৩০০ টাকা। একটি বাঁশ থেকে কমপক্ষে ৬-৭টা খলসুনি হয়। একটি তৈরি করতে দুই জনের চার দিনের মতো সময় লাগে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় শ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে। প্রতিটি খলসুনি বড়টি ৪০০-৪৫০, ছোটটি ২৫০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
কফিল শেখ বলেন, একটা খলসুনি তৈরিতে মজুরি ধরে ৩৫০ টাকা পড়ে, বিক্রি হয় ৪০০-৪৫০ টাকায়, ধুন্দি খরচ ১৮০, বিক্রি হয় ২৫০; বৃত্তি ৩৫০ টাকা খরচ, বিক্রি ৪০০-৪৫০ আর বড় খাদুন ৩০০ টাকা খরচ, বিক্রি হয় ৪০০-৪৫০ টাকা’
ছালাম শেখ বলেন, আমাদের মজুরি ধরলে খুব লাভ হয় না। তবে এটা আমাদের পেশা তাই পরিবারের বউ ও ছেলে-মেয়েদের নিয়ে তৈরি করা হয়।
সদর উপজেলার রতনকান্দি হাটে মাছ ধরার ফাঁদ বিক্রি করতে আসা আলিম উদ্দিন জানান, বর্ষা মৌসুমে এ হাটে বিক্রি করা হয়। এসময় চারদিক পানিতে ডুবে গেলে কৃষি কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এসময় তারা মাছ ধরার সরঞ্জাম বিক্রি করে সংসার চালান।’
তাড়াশের নওগাঁ গ্রামের শিপন ব্যাপারী জানান, তার গ্রামের প্রায় একশত পরিবার মাছ ধরার যন্ত্র তৈরির কাজে জড়িত। আকারভেদে প্রতি জোড়া খলসুনির দাম ৫০০-৬০০ টাকা। কখনও কখনও এর চেয়েও বেশি। আকারের ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয় দাম। এক জোড়া খলসুনি তৈরিতে সময় লেগে যায় প্রায় দু’তিন দিন। উপকরণ বাবদ খরচ হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।’
নওগাঁ হাটের ইজারাদার আকবর আলী বলেন, বর্ষার সময় নদীতে, খাল-বিলে পানিতে ভরপুর থাকে। সেই পানিতে দেশি মাছ ধরার জন্য সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়। এই সময় নওগাঁ হাটে বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরার সরঞ্জাম কেনাবেচা হচ্ছে’। এই হাট থেকে জেলার মৎস্যজীবীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে অনেক মৎস্যজীবীরা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে এসব সরঞ্জাম বিক্রি করে কারিগররা যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি যারা ক্রয় করে যাচ্ছেন তারাও মাছ ধরে নিজেদের চাহিদা মেটাতে পারবেন।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর ....
© All rights reserved © 2022 crimenews24.net
Design & Developed By : Anamul Rasel