সেলিম রেজা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
কাজিপুর উপজেলার ছালাভরা গ্রামের
ঋণ গ্রহীতা কর্তৃক জামিনদার
ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম এবং সোহেল রানাকে ফাঁসানোর পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে।
উত্তরা ব্যাংক শুভগাছা,কাজিপুর শাখায় ‘পশুপালন ঋণের টাকা আত্মসাৎ’ শিরোনামে প্রকাশিত
সংবাদের পর অভিযুক্ত শরিফুল এবং সোহেল রানা প্রতিবাদ জানায়। প্রতিবাদের সূত্র ধরে কয়েকদিন অনুসন্ধানের পর যা পাওয়া যায় তা রীতিমতো চাঞ্চল্যকর ।
অভিযোগকারী ছয় ব্যক্তি ঋণ গ্রহীতা মোছা: ফেরদৌসী খাতুন, স্বামী- মো: শরিফুল ইসলাম, কুকিলা খাতুন,স্বামী- রফিকুল ইসলাম শিরিনা খাতুন স্বামী- আলতাফ হোসেন, আঞ্জুয়ারা,স্বামী- আলতাফ হোসেন, আলতাব হোসেন, পিতা- মৃত মোহাম্মদ আলী, রফিকুল ইসলাম,পিতা-মৃত মুসলিম উদ্দিন
সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার মাইজবাড়ী ইউনিয়নের ছালাভরা গ্রামের বাসিন্দা। তারা প্রত্যেকেই একে অপরের আত্মীয় এবং কেউ কেউ একই পরিবার ভুক্ত নিজ নামে, স্ত্রী-কন্যার নামে, ছেলের স্ত্রীর নামে ঋণ গ্রহণ করে। অভিযুক্ত ব্যাবসায়ী শরিফুল ইসলাম এবং সোহেল রানা দুই ভাই। তাদের সাবেক বাড়ি কাজিপুর উপজেলার মেঘাই গ্রামে। বর্তমানে তারা উভয়ই বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ নামক স্থানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। অভিযোগকারীদের মধ্যে কুকিলার স্বামী রফিকুল ইসলাম তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ছিলেন। অভিযোগকারীরা তাদের নিজস্ব প্রয়োজনে উত্তরা ব্যাংক শুভগাছা শাখা কাজিপুর থেকে ব্যাংক ঋণ নেন। কর্মচারী হিসেবে অভিযোগকারীদের অনুরোধে শরিফুল ইসলাম তাদের জামিনদার হন। কিন্তু পরবর্তীতে রফিকুল ইসলাম ব্যবসায় অসদুপায় অবলম্বন করে নিজে লাভবান হওয়ার জন্য আর্থিক ক্ষতি সাধন করায় শরিফুল এবং সোহেল তাকে চাকরিচ্যুত করেন। চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে এবং তার দ্বারা আত্মসাৎকৃত ব্যবসার টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্যই দলবদ্ধভাবে এমন অভিযোগ সাজিয়েছে বলে শরিফুল ইসলাম জানায়।
এবিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন অনেক আগে আমি সোহেলের কাছে কাজ করেছি,তার সাথে আমার কাজের বিষয়ে কোনো সমস্যা হয়নি,আর আমাকে দিয়ে লোন তুলে নিয়ে সে নিজেই কিস্তি দিছে, এখন আর কিস্তি দিচ্ছে না।,
এ প্রসঙ্গে উত্তরা ব্যাংক কাজিপুর শাখার তৎকালীন ম্যানেজার গোলাম হোসেন জানান, অভিযোগকারী ব্যক্তিগণ নিজেরা উপস্থিত থেকে ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে টাকা উত্তোলন করেছে। তারপর তাদের টাকা কে কাকে কিভাবে দিয়েছে বা না দিয়েছে সেটা ব্যাংকের জানার বিষয় নয়। বর্তমান ম্যানেজার কে এম ইমাম হাসান বলেন আমি অভিযোগ পাবার পর ব্যাংকে গচ্ছিত তাদের যাবতীয় কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি ঋণ গ্রহীতারাই টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেছে।