সম্প্রতি কুষ্টিয়া ইসলামী ইউনিভার্সিটিতে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে ব্যাহত করতে চলমান মেগা প্রকল্প নিয়ে শুরু হয়েছে নানা ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার। ইবির শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে অডিও ফাঁস ,ফুৃলপরিসহ নানাা ইস্যু নিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে একটি সরকার বিরোধী মহল। এরই পাশাপাশি টেন্ডার ও চাঁদাবাজি করতে ব্যার্থ হওয়ায় একটি মহল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি দেশের শীর্ষ স্থানীয় আক্তার ফার্নিচারের নামে বেসরকারী টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়াতে মিথ্যা ও মন গড়া তথ্য প্রচার করে ইবির উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে।
বিভিন্ন অনলাইন ,প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়াতে টেবিল চেয়ার নিয়ে একটি সংবাদ প্রচার হয়। টেবিল ও চেয়ার গুলোর রং উঠে যাওয়া, ফেটে যাওয়া, জয়েন্ট গ্যাপ ,ঘুনে ধরা, পাঁচ মাস হস্তান্তর করা থাকলেও কমিয়ে একমাস সময় উল্লেখ করা ও ৫ কোটির টাকাসহ নান বিষয়ে মিথ্যাচার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আক্তার ফার্নিচারের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। টেন্ডারের শুরু থেকেই সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার বাঁধা ও চাঁদা দাবিসহ নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হয় আক্তার ফার্নিচার। সেসময় চাঁদা আদায়ের অভিযোগে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরীও করেন কর্তৃপক্ষ।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, লড-১’এ টেবিল ১০৯৪ পিচ ও চেয়ার ৩২৮২ পিচ অপর দিকে লড-২’তে টেবিল ৯৭০ পিচ ও চেয়ার ২৯১০ পিচ টেন্ড্রারটি পায় আক্তার ফর্নিচার। ঐ টেবিল চেয়ারের বাজার মূল্য ৩কোটি ৮৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৪’শ টাকা।
টেন্ডারের নির্ধারিত তারিখের মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারী থেকেই টেবিল ও চেয়ার ইবি কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর শুরু করেন আক্তার ফার্নিচারের প্রতিনিধিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইবির টেবিল চেয়ারে উন্নতমানের কাঠ ও ইটালিয়ান লেকার ব্যবহার করা হয়েছে । বিশেষজ্ঞরা জানান , উন্নতমানের লেকার ব্যবহার করলে পানি দিয়ে ঘষা ঘষি করলেও রঙ উঠবে না। ভিন্ন ভিন্ন বিভাগ ঘুরেও কোথাও রং কিংবা ঘুনে আলমত পাওয়া যায় নি।
এদিকে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারনে নাম মাত্র কিছু টেবিল চেয়ার জয়েন্ট গ্যাপ হয়েছিলো। তা প্রকৌশল বিভাগ থেকে আক্তার ফার্নিচারের কর্তপক্ষকে জানালে সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন করে দেয়।
ইবির কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, রং উঠে যাওয়া ও ঘুনে ধরার বিষয়টি আমাদের চোখে পরেনি। টেবিল চেয়ার গুলো আগের টেবিল চেয়ার থেকে অনেক মজবুত ও সুন্দর। হাতে গুনে কয়েকটি টেবিল চেয়ারের জয়েন্ট গ্যাপ হয়েছিলো। কিন্তু সেগুলো আমরা দেখিনি। লেঅক মুখে শুনেছি। ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভিন্নমত জানান। তারা বলেন, এর পূর্বে এর থেকে ভাল টেবিল চেয়ার আমরা ক্যাম্পাসে কখও দেখিনি।
ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি বিভাগের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, টেবিল চেয়ার গুলো অনেক ভাল। আমার বিভাগে রং উঠে যাওয়া কিংবা জয়েন্ট গ্যাপেরমত কোন ঘটনা ঘটেনি।
চাঁদা আদায়ে ব্যার্থ একটি মহল আক্তার ফার্নিচারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে যা কুষ্টিয়া কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কে এম রেজাউল ইসলঅম জানান,
আমরা যেভাবে ট্রিটমেন্ট করি সাধারনত এগুলো ঘুনে ধরে না,
আমরা ৩৫-৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সাধারনত সিজেন করে থাকি ,যা বিগত দিনে কখনও ফাটে নি। ইতি মধ্যে বৈশি^ক আবহওয়ার কারনে ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারনে ৪০-৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্র বৃদ্ধিও কারনে রেল লাইন বাঁকা হয়ে যাচ্ছে ,রোডের বিটুমিন গলে যাচ্ছে , তাই তাপমাত্র বেশি হওয়ার কারনে কিছু সংখ্যক চেয়ার টেবিল জয়েন্ট গ্যাপ হয়েছিল।
প্রকৌশলী অফিস থেকে আমাদেরকে জানালে জয়েন্ট গ্যাপ হওয়া চেয়ার টেবিল পরিবর্তন করে দিয়েছি। কিছু বিভাগে পরীক্ষা চলছে পরীক্ষা শেষ হলে ওখানেও নতুন টেবিল চেয়ার পরিবর্তন করে দেয়া হবে। আখতার ফার্নিচার হলো বাংলাদেশের ব্র্যান্ড কোম্পানি যেখানে টেন্ডারে পণ্য গুলো ওয়ারেন্টি দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু আমরা সেখানে গ্যারান্টি করে নতুন টেবিল চেয়ার দিয়েছি। তিনি আরও জানান, বেশ অসাধু মানুষ আমার কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমি দিতে রাজি না হওয়ায় মিথ্যা ও বানোয়াট ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করেন।
এ বিষয়ে ইবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দদীন মো: তারেক জানান, নিয়ম অনুযায়ী দুইটি লডে টেন্ডার করা হয়। টেন্ডারের শুরু হয়েকে কিছু অসাধধু ঠিকাদাররা বাঁধা প্রদান করেছিলো। এখনও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এক মাস নয় গত জানুয়ারী মাস থেকেই পন্যগুলো হস্তান্তর করতে শুরু করে আক্তার ফার্নিচার। ইবির ইতিহাসে সব থেকে ভাল প্রডাক্ট দিয়েছে আক্তার ফার্নিচার। বৈশি^ক আবহওয়ায় তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারনে অল্প সংখ্যক টেবিল চেয়ারের জয়েন্ট গ্যাপ হয়েছিলো। আমরা সেগুলো তাদেরকে জানালে তৎক্ষনাক রিপ্লেসমেন্ট করে দেয়। রঙ উঠে যাওয়া আর ঘুনে ধরার বিষয়টি এখন পর্যন্ত মিথ্যা।
এ ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পিডি জানান, এখন পর্যন্ত আমার কাছে ব্যবহারকারী কোন শিক্ষার্থী কিংবা শিক্ষক আক্তার ফার্নিচারের টেবিল চেয়ারের বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ দেয়নি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।