রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় বিয়ের এক সপ্তাহ না য়েতেই রাজিয়া সুলতানা বৃষ্টি (১৯) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নিহতের বাবা রেজাউল করিম বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্রচারনার অভিযোগে সাহেদ হোসেন আসামি করে মোহনপুর থানার মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার মোহনপুর থানা পুলিশ লাঁশ উদ্ধার করে ময়মা তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি ইউনিয়নের বেড়াবাড়ি পূর্ব পাড়া গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে রাজিয়া সুলতানা বৃষ্টিকে একই গ্রামের সোহরাব হোসেনের বিবাহিত ছেলে এক সন্তানের জনক সাহেদ হোসেন গত ১৯ মে গোপনে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের বিষয়টি গোপন ছিল। নিহতের পরিবারের লোকজন বৃষ্টিকে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে প্রস্তুতি নেয়। বুধবার বিয়ের দিন ক্ষণ ঠিক করার কথা ছিল। নিহত রাজিয়া সুলতানা বৃষ্টির বাবা রেজাউল করিম বলেন, গোপনে বিয়ে বিষয়টি আমরা জানতাম না। মঙ্গলবার বৃষ্টি তার চাচাতো ভাই মুস্তাকিনের প্রকাশ করে। বুধবার বিয়ের নকল নেয়ার জন্য রাজশাহী শহরে কাজী অফিসে যাওয়ার কথা ছিল। সকালে আমি অটো-রিকশা নিয়ে রাজশাহীতে যাওয়ার কিছু ক্ষণ পর ফোনে জানতে পারি বৃষ্টিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার পর বাড়িতে এসে দেখি আমার ছোট ভাইয়ের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে বৃষ্টি আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে কাজী অফিসে মেয়ে পক্ষের লোকজন যাওয়ার আগেই সাহেদ হোসেন তার লোকজন নিয়ে হাজির হন। রেজাউল করিম আরও বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যার আগে সাহেদ হোসেনের সাথে ফোনে কথা বলেছে। তার কিছু ক্ষণ পর বৃষ্টি আত্মহত্যা করে। আমি দাবি করছি সাহেদ হোসেন আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। আমি সাহেদ হোসেনের বিচার চাই।
এ বিষয়ে মোহনপুর থানার এস আই দেবাশীষ নন্দী বলেন, নিহতের লাঁশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহতের বাবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সঠিক তথ্য বের করার জন্য পুলিশ গুরুত্বের সাথে কাজ করছে।