আসন্ন ২১ জুনের রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপি নেতা সাহিদ হাসান। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ছাত্রজীবনে সাহিদ হাসান রাজশাহী কলেজের ছাত্রদলের সভাপতি ও ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন। পরে রাজশাহী মহানগরের ছাত্রদলের সভাপতি হন। ছাত্রজীবন শেষে বিএনপির রাজশাহী মহানগরের প্রথমে ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। পরের কমিটিতে বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পান। তিনি দীর্ঘদিন যাবত কোন কমিটিতে নেই।
বিজ্ঞপ্তির শুরুতেই তিনি নিজের রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরেন এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের প্রদেয় ১৯ দফা কর্মসূচীর প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেছেন, ছাত্রজীবন থেকেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে নিজেকে একজন সফল জাতীয়তাবাদী কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাজাশাহী সিটি নির্বাচন নিয়ে আমি বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছি তা হলো- রাষ্ট্র ও নির্বাচন কমিশন অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করলে সেক্ষেত্রে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। কিন্তু আমার বক্তব্য না শুনেই এবং নূন্যতম আমার সাথে আলোচনা না করেই বিএনপির কয়েকজন নেতা যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তাতে তারা তাদের রাজনৈতিক অদূরদর্শীতার প্রমাণ দিয়েছেন। আরও উল্লেখ করেছেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলের কাছে আমি রাজশাহী-২ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলাম। কিন্তু বিএনপি থেকে আমাকেসহ মিজানুর রহমান মিনু দুজনকেই মনোনয়ন দেন। পরে মিনু ভাইকে প্রতীক দেওয়ায় আমি আমার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিএনপির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা সিটি নির্বাচন নিয়ে আমার সাথে কথা বলেছেন। আমি মনে করি আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে না। নির্বাচনের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের নেওয়া নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। সবশেষে তিনি রাজশাহীবাসী এবং সকল গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।