রাজশাহীর পবা থানাধীন এলাকায় এক শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পবা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতের নাম, মো: নাজিম আলী (৪০)। সে রাজশাহী পবা উপজেলার চৌবাড়িয়া পশ্চিমপাড়ার মো: মান্নানের ছেলে।
পুলিশ সুত্রে যানা যায়, রাজশাহী পবা উপজেলার চৌবাড়ীয়া পশ্চিমপাড়ার এসএসসি পরীক্ষার্থী এক শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণী গত ১৪ই মে সকাল ৬ টায় পবা থানার নওহাটায় প্রাইভেট পড়ার জন্য যায়। প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফিরে না আসলে তার পিতা-মাতা অনেক খোঁজাখুঁজি করে। খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে তাঁরা রাতেই পবা থানায় একটি নিখোঁজ ডিজি করেন।
পরের দিন ১৫ই মে সকাল ৬:১৫ টায় ভ্যানচালক জেকের আলী (৫৫) ওই তরুণীকে চৌবাড়িয়া এলাকায় কান্নারত অবস্থায় দেখে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। বাড়িতে এসে শরীরিক প্রতিবন্ধী তরুণী তার বাবা-মাকে জানায়, গতকাল সকাল ১০:৩০ টায় প্রাইভেট শেষে দুয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বাড়ি ফেরার জন্য অপেক্ষা করছিলো। এসময় আসামি নাজিম তাকে বিয়ের প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে অপহরণ করে। এরপর তাকে ভ্যানে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ওই দিন সন্ধ্যা ৭:০০ টায় পবা থানাধীন চৌবাড়িয়া এলাকায় ভুট্টা ক্ষেতের ভিতরে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভু্ট্টা ক্ষেতে রেখে নাজিম পালিয়ে যায়।
এরপর প্রতিবন্ধী ওই তরুণীর পিতার এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পবা থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু হয়।
মামলা রুজু পরবর্তীতে উপ-পুলিশ কমিশনার (শাহ্মখদুম) মো: নূর আলম সিদ্দিকীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এ.এইচ.এম আসাদ হোসেনের নেতৃত্বে পবা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো: মোবারক পারভেজ, এসআই মো: শামীম হোসেন ও একটি টিম আসামি গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে গত ১৫ই মে বিকেল সারে ৫:৩০ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি নাজিমকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।