রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশের অভিযানে নকল হারবাল প্রসাধনিসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্য এ তথ্য জানান রাজশাহীর পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার)।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানান, পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) এর দিক নির্দেশনায় জেলা ডিবির ওসি আব্দুল হাই, পিপিএম ও জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক আতিকুর রেজা সরকারের নেতৃত্বে এসআই নাছিম উদ্দিনসহ জেলা ডিবি পুলিশের পৃথক দুই টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজশাহী জেলার চারঘাট থানা এবং পুঠিয়া থানা এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে । শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে চারঘাট মাড়িয়া মসজিদপাড়ায় শেফালি বেগম (৫৫), স্বামী ইসমাইল হোসেন বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে ডিবি পুলিশ। এসময় লতা হারবাল কোম্পানির নাম নকল করে ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী, ক্রিম ও বিভিন্ন কেমিক্যাল দ্বারা তৈরী অন্যান্য ব্যান্ডের ক্রিম, খালি কাগজের প্যাকেট ও ক্রিম তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামালসহ শেফালি বেগম কে গ্রেপ্তার করে।
অপরদিকে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে পুঠিয়া বানেশ্বর গরুহাটি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে ডিবি পুলিশ। এসময় ওই গ্রামের মৃত নরুল হকের ছেলে আনোয়ারুল হক (৪৫) এর বাড়ীতে লতা হারবাল কোম্পানির নাম নকল করে ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী ক্রিম, খালি কাগজের প্যাকেট ও ক্রিম তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামালসহ পুঠিয়া বিহারীপাড়া গ্রামের নুরুন্নবী @ নবির মাষ্টারের স্ত্রী মোসাঃ সুমি খাতুন (৩০) কে গ্রেপ্তার করে। এসময় ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরো ৫ জন পালিয়ে যায়। পলাতক ৫ জন আসামীর বিরুদ্ধে পুঠিয়া এবং চারঘাট মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মধ্যমে ডিবি পুলিশ জানায়, আটক এবং পলাতক আসামিরা দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন দেশি এবং বিদেশি ব্যান্ডের প্রসাধনী তৈরি এবং মোড়কজাত করে বিপনন করে আসছিল। ইতঃপূর্বেও পুঠিয়া, দুর্গাপুর এবং চারঘাট এলাকায় জেলা পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভেজাল প্রসাধনী উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ধরনের ভেজাল প্রসাধনী এবং মাদকের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সচেতন রাজশাহীবাসীকে এ সংক্রান্তে তথ্য দিয়ে জেলা পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেন পুলিশ।