রাজশাহী জেলার পুঠিয়ায় সাংবাদিক সোহানুর রহমান সোহানের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টায় পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে পুঠিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাবের সভাপতি বিজয় ঘোষের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দূর্গাপুর) আসনের সাবেক এমপি মুক্তিযুদ্ধা অধ্যাপক আবুল হোসেন, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের পুঠিয়া শাখার সভাপতি স্বপন কুমার নিয়োগী, পুঠিয়া পৌর ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন, শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক আরিফ সাদাত (দৈনিক নয়াদিগন্ত), মোঃ শাহনেওয়াজ (দৈনিক আজকের পত্রিকা), মোহাম্মদ আলী (দৈনিক যায়যায়দিন), জামালদিন সুমন (নুতুন প্রভাত), আমিরুল রুমি (বাংলাদেশ বার্তা), মিলন সরকার, আকাশ ঘোষ (সোনার দেশ), নজমুল ইসলাম ঠান্টু (রাজশাহী প্রতিদিন), নাহিদ হাসান, ইমন আলীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন ।
উক্ত মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন পুঠিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ এবং স্বাগত বক্তব্য দেন সাংবাদিক সোহানুর রহমানের পিতা মোঃ আনোয়ার হোসেন।
উল্লেখ্য, রাজশাহীর পুঠিয়ার সৈয়দপুরে ঈদ মাঠ সাজানোর বিষয়কে কেন্দ্র করে একই গ্রামের দুই গ্রুপের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় সাংবাদিকসহ ৯ জন আহত হয়েছে। শনিবার সকালে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সৈয়দপুর বাজারে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, ঈদের নামাজ শেষে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার সৈয়দপুর বাজার ঈদগাঁ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জাল হোসেন বক্তব্য দেওয়ার সময় আলম সরদার বাধা দেয়। সে সময় জিন্না হাজীর ছেলেরা সহ কয়েকজন হট্টগোল শুরু করে, সে সময় শান্ত, ফাইম, জয় সহ কয়েকজন কে মারধর করে। তারপর সবাই চলে যায়। তারপর সাংবাদিক সোহানুর রহমান বাজারে যাওয়ার সময় তাকে অর্তকিত ভাবে মারধর করে পায়ের হাটু ভেঙ্গে দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর দফায় দফায় একই গ্রামের দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েক জন আহত হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতরা হলেন, সাংবাদিক সোহানুর রহমান (২২), ঈমন (২৫), হৃদয় (২২), নাজিম (৫৫), তুফান (৫৫), সেলিম (৩০), ফজলুর রহমান (৫৫) সবুজ (৩৪) এবং রকি (১৯) আহত হয়। তাদেরকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাংবাদিক সোহানুর রহমান জানায়, ঈদগাঁ সাজানোর চাঁদার বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় একই গ্রামের আলম সরদার উত্তেজিতয় হয়ে উঠে। বাক বির্তক হয়। সে সময় আমি বাড়িতে ছিলাম। এরপর আমি বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার সময় হাকিম আমার মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে। এ সময় নাইম, অনিক, শান্ত সহ অনেকে এসে অর্তকিত হামালা চালিয়ে আমার বাম পায়ে লোহার বড় হাতুর দিয়ে মেরে জখম করে। আমি পুঠিয়া হাসপাতালে ভর্তি হই। আমার বাম পা ভেঙ্গে যাওয়ায় কতব্যরত চিকিৎসক আমাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
সৈয়দপুর ঈদগাঁ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জাল হোসেন জানান, নামজ শেষে ঈদগাঁ সাজানোর চাঁদার বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় আলম সরদার বাধা দেয়। সে সময় জিন্না হাজীর ছেলেরা সহ কয়েকজন হট্টগোল শুরু করে সে সময় শান্ত, ফাইম, জয় সহ কয়েকজন কে মারধর করে। তারপর আমরা চলে যায়। তারপর সাংবাদিক সোহানুর রহমান বাজারে যাওয়ার সময় তাকে অর্তকিত ভাবে মারধর করে পায়ের হাটু ভেঙ্গে দেয়। সোহান কারো সাথে কোন খারাপ আচরণ করে না। সে একজন ভালো ছেলে তাকে পা ভেঙ্গে দিয়ে অন্যায় করেছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী করেন তিনি।
সাবেক মেম্বর ফজলুর রহমান জানান, ঈদগাঁয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার দোকানে এসে আমার উপর হামলা করে। আমি আহত হই এবং পুঠিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি। তবে, সোহান তো একটি ভালো ছেলে। কারো সাথে হট্টগোল করেনা। তবে সে ছবি তুলেছে বলে তার উপর হামলা করেছে। তবে এইটা ঠিক করেনি।