১৭ এপ্রিল, সোমবার দুপুর পৌনে তিনটায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজমের সাথে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার মতবিনিময় হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনারের স্ত্রী মিসেস মনু ভার্মা, সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার, এবং ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি।
অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে এ বৈঠকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শাহ্ আজম ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্কের বিষয়ে আলোকপাত করে বলেন, এই বন্ধুত্ব ভারত-বাংলাদেশের মধ্যেকার আন্ত বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। একইসাথে তিনি দুই দেশের মধ্যে গবেষণা, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ও বিনিময়ের বিষয় উত্থাপন করেন৷ উপাচার্য আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সুদীর্ঘ বন্ধুত্বের সেতু হিসেবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।,
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা রবি উপাচার্যের বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ছিল একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ভারত সরকার সবসময় থাকবে। সেটি শুধুমাত্র শিক্ষা ও গবেষণার মধ্যে আবদ্ধ থাকবেনা। প্রয়োজন হলে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রেও ভারত সরকার কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজমের মতো তিনিও বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যেকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় হবে কেন্দ্রবিন্দু।,
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে প্রণয় কুমার ভার্মা অচিরেই সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত বিশ্বকবির নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।