রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম কোর্ট স্টেশন মোড়ের জামিল চত্ত্বর এলাকা হতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে ৫ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার রানীনগর হিন্দুপাড়ার শ্রী ইন্দ্রজিৎ সরকারের ছেলে পবন সরকার উদয় (১৯), রাজপাড়া থানার হড়গ্রাম বাজার এলাকার মৃত সাইদুল ইসলামের ছেলে মো: দাউদ ইব্রাহিম সাফি (২২), একই এলাকার মৃত সুরে জামাল শেখের ছেলে মো: পলাশ কবির (২৬), কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম পালপাড়ার শ্রী হরেন্দ্রনাথ পালের ছেলে প্রবীন পাল রুদ্র (২০) ও একই এলাকার মো: শামসুর রহমান বাদলের ছেলে ওয়াহিদুর রহমান নুর (২০)।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার চান্দলাই গ্রামের মৃত অসীম কুমার বর্মনের ছেলে রাতুল কুমার বর্মন। সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। রাতুলের সাথে আসামি পবন সরকারের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। গত ৬ জানুয়ারি ২০২৩ সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় পবন সরকার মোবাইল ফোনে রাতুলকে কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম কোর্ট স্টেশন মোড়ের জামিল চত্ত্বরে আসতে বলে। রাতুল সেখানে গিয়ে তার ছোট ভাই দিবাকর বর্মনের মেসে থাকা নিয়ে পবনের সাথে কথা বলে। কথা শেষ করে রাতুল সেখান থেকে যেতে চাইলে পবনের অপর সহযোগী দাউদ ইব্রাহিম ও পলাশ তাকে অপহরণ করে হড়গ্রাম বাজারে আসামি দাউদ ইব্রাহিমের একতলা বিল্ডিংয়ের নিচতলায় একটি রুমে আটকিয়ে রাখে এবং মারধর করে।
রাত ৯ টার দিকে আসামিরা রাতুলের মোবাইল ফোন হতে তার মায়ের মোবাইল ফোনে কল করে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। রাতুলের মা বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা প্রেরণ করে। আসামিরা অবশিষ্ট টাকার জন্য রাতুলকে মেরে জখম করে। রাতুল আসামিদের সাথে ধ্বস্তাধস্তি করে এক পর্যায়ে ঘরের বাইরে আসে এবং চিৎকার শুরু করে। আসামিরা বাহিরে রাতুলকে আবার ধরে ঘরে নিয়ে আটক রেখে মারপিট করতে থাকে।
এমন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে কাশিয়াডাঙ্গা থানার ইনচার্জ মশিউর রহমানের নেতৃত্বে এসআই জীবন চন্দ্র বর্মন ও তার টিম রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৫ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেন এবং রাতুলকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
এ ঘটনায় কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।