সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে থানায় মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে। গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বেলকুচি পৌরসভার ক্ষিদ্রমাটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন ওই গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে সোহেল, গনির ছেলে সজিব সহ বেশ কয়েকজন।
ভূক্তভোগী সোহেল বলেন, ইসমাইল হোসেন বাড়িতে হামলা ও তার ভাইকে মারধরে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাদের ফাঁসানোর জন্য মামলা করেছেন। যে সময় দেখিয়ে মামলা করেছেন সে সময় আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল সাহেবের সাথে ছিলাম। তার প্রমাণস্বরুপ ভিডিও ফুটেজ আছে।’
মিথ্যা নাটক সাজিয়ে গত ০১ জানুয়ারী দুপুরে ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে আমাকেসহ ১৩ জনকে আসামী করেছে। তাদের সাথে আমাদের এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। অথচ মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা দায়ের করে। আমরা অপরাধ না করেও মামলার আসামী হয়ে অযথা হয়রানীর শিকার হচ্ছি। প্রতিপক্ষের মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে চাই। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আব্দুল মান্নান বলেন, ওখানে ওই দিন মারামারির কোন ঘটনা ঘটেনি। পুর্বশত্রুতার জের ধরে হয়তো ইসমাইল হোসেন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী বলেন, বর্তমানে বেলকুচিতে হয়রানি মূলক মামলা বেশি হচ্ছে, কোনো এক প্রভাবশালীর কথা মত কোনো এক পক্ষকে ফাঁসাতে থানায় মামলা দায়ের করেছে এবং সেই মামলার সত্যতা যাচাই বাঁচাই না করেই পুলিশ প্রশাসন সেগুলো আমলে নিয়ে হয়রানি করছে। আমরা সাধারণ জনগণ চাই যেকোন অভিযোগ প্রশাসন যেনো খতিয়ে দেখে তারপর আইনি ব্যাবস্থা নেয়। এটা না হলে মানুষ আইনের প্রতি আস্থা হারাবে।,
মামলার বাদী ইসমাইল হোসেনের কাছে ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাড়িতে হামলা ও আমার ভাইকে মারধর করেছে তার স্বাক্ষী আমার এলাকাবাসী।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে সঠিক তথ্য জানা যাবে।
এ জাতীয় আরো খবর ....