রাজশাহীর তানোর উপজেলার সেলামপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে রাতের বেলা বাড়িতে এসে এক নারীর উপরে হামলা ও নির্যাতনের ঘটেছে। এই ঘটনায় তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলার স্বীকার ওই নারী ছয়দিন ধরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ১৩ ডিসেম্বর দিনগত রাতে উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের সেলামপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত ও নির্যাতিত নারী হলেন, সেলামপুর গ্রামের সাত্তারের মেয়ে নাসিমা আক্তার সুমি (৩৭)।
হামলার ভুক্তভোগীর মামা আকরাম আলী বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর আমার বোন আনোয়ারা বিবি তাঁর নাতনী রিয়াকে সঙ্গে নিয়ে চাপাইনবাবগঞ্জ এবং বোন জামাই সাত্তার আমশো গ্রামে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যায়। এদিকে, সেদিন আমার বোনের বাসায় একাই ছিলেন স্বামী পরিত্যক্তা ভাগ্নি নাসিমা আক্তার সুমি। গোপনে এ খবর জানতে পেরে, সে রাতেই পাশ্ববর্তী বিলশহর গ্রামের রনি (২২) ও তার ভাই রাসেল (২৬), সেলামপুর গ্রামের সিহাব (২২), নাইম (২৮), মিঠু (৩০) ও তাঁর ভাই বাবুল (৩৫) এবং বকুল (২১) সহ কয়েকজন দেশিও অস্ত্রসহ আমার বোনের বাড়িতে এসে ভাগ্নি সুমির উপরে অতর্কিত হামলা করে এবং চেতনা নাশক স্প্রে করে বিভিন্ন রকম নির্যাতন করে।
তিনি আরও বলেন, মূলত অভিযুক্ত রনির সঙ্গে আমার ভাগ্নির নাবালিকা মেয়ে রিয়া খাতুনের বিয়ে এবং বিচ্ছেদ হয়েছে। এ ঘটনায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই সেই রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আমার ভাগ্নির উপরে বর্বর হামলা চালায় অভিযুক্তরা। বর্তমানে আমার ভুক্তভোগী ভাগ্নি সুমি হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন।
ভুক্তভোগীর মা আনোয়ারা বিবি বলেন, বখাটে রনি ও তার অনুসারীরা প্রায়শই আমার পরিবারের উপর বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হামলার হুমকি দিয়ে আসছিলো। এবার তারা আমার মেয়ের উপরে অমানবিক হামলা চালিয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার কামনা করছি।
এ ব্যাপারে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর ....