র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘদিন যাবত পালিয়ে থাকা বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে জনগনের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করে আসছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী একটি সংঘবদ্ধ চক্রের মুলহোতা। তিনি দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের/দপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চাকরীর ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে সাধারন মানুষের কাছ থেকে তিনি প্রায় ৯৫,০০০,০০/- (পচানব্বই লক্ষ) টাকা হাতিয়ে নেয়। এই সংক্রান্তে প্রতারক মোঃ আবুল কালাম(৩৬) এর বিরুদ্ধে ভুক্তভুগীগন বিভিন্ন থানায় ০৩টি মামলা ও ০১টি জিডি দায়ের করেন। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত আসামীর বিরুদ্ধে ০২টি গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। আইন শৃংখলা বাহিনীর চোখ ফাকি দিয়ে উক্ত প্রতারক বিভিন্ন স্থানে নিজের নাম ঠিকানা এবং পরিচয় পরিবর্তন করে আত্নগোপন করেন। ঘটনার বিষয়ে র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীকে গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখ র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত প্রতারনা মামলার মূলহোতা পলাতক আসামী গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া থানা এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ ভোর ০৪:৩০ ঘটিকার সময় গোপলগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া থানাধীন আলফা বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ আবুল কালাম(৪০), সাং-বড়দুধপাতিলা, থানা-দামুরহুদা,জেলা-চুয়াডাঙ্গাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।