কাজী এনায়েত, রাজশাহী অফিসঃ
রাজশাহী গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন (৪০) অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত অবস্থায় পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। ১৮ই অক্টোবর রাত সোয়া নয়টায় বগুড়া সদর থানা পুলিশের অভিযানে মাটিডালি এলাকার গোধুলী আবাসিক হোটেল থেকে তাকে আটক করা হয়। তার সাথে একই উপজেলার ভাঙ্গামোড়ের সেকেন্দার আলীর স্ত্রী বিউটি বেগমকেও (২০) আটক করা হয়েছে। এসময় অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার দায়ে আরো দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন, গাইবান্ধা শহরের ভিএইড রোডের মুন্সিপাড়ার জামিল উদ্দীন প্রধানের ছেলে জাহিদ হাসান চমক (৩৮), রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের অঞ্জনের পুত্র শ্রী প্রভাত (২৩)।
তাদের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানার এস.আই রুম্মান হাসান বাদী হয়ে দন্ড বিধি আইনের ২৯০ ধারার অপরাধে এমটি মামলা দায়ের করেছেন। বগুড়া সদর থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানাযায়, শহরের মাটিডালী এলাকার গোধুলী আবাসিক হোটেলে কতিপয় পুরুষ ও মহিলা অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত আছে। এমন সংবাদ পুলিশের কাছে আসলে ১৮ অক্টোবর রাত সোয়া নয়টার দিকে অভিযান চালানো হয়। এসময় উল্লিখিত আসামিদের অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, ভরতখালী ইউনিয়ন পরিষদের দুর্নীতি নিয়ে ওই চেয়ারম্যান ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে গত ২১শে সেপ্টেম্বর দৈনিক মানবজমিনে ‘২০ হাজার টাকার চেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশ হয়। পরে রাতের আঁধারে ঘুষের টাকা ফেরত দেয়া হয় ভুক্তভোগীদের কাছে। ওই সংবাদ প্রকাশের পর থেকে চেয়ারম্যানের দুর্নীতি আরো প্রকাশ পেতে থাকে।
শেষ পর্যন্ত অসামাজিক কার্যকলাপে পুলিশের হাতে আটক হয়ে এলাকার মানুষের ঘৃণায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সয়লাব হয়। বিভিন্ন ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় গতকাল রাত থেকেই ভাইরাল হয়ে যায় চেয়ারম্যান ফারুক। বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম সিদ্দিকী মানবজমিনকে জানান, অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে বগুড়া সদর থানা বদ্ধপরিকর। আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত রাতে (১৮ অক্টোবর) শহরের মাটিডালী এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে আসামিদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।