চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার ও
প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের(৪০) বির“দ্ধে স্ত্রীকে পিটিয়ে হাত
ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতে সংঘটিত হয়েছে। এ্ ঘটনায়
জীবননগর থানায় নির্যাতনের শিকার স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন(৩০) একটি লিখিত
অভিযোগ করেছেন।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধু বুল্টি আক্তার সুরাইয়া উপজেলার মেদিনীপুর
গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর কন্যা। তার সাথে উপজেলার হাবিবুর গ্রামের বিশারত
আলী মন্ডলের ছেলে সীমান্ত ই্উনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার ও প্যানেল
চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের গত ছয় বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিš‘ আব্দুল
কাদেরের ঘরে প্রথম স্ত্রী ও সন্তান সন্ততি থাকায় গৃহবধু সুরাইয়াকে তার
পিতামাতার বাড়ীতে রেখে দেয়। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের দাম্পত্য জীবনে বনাবনি
না হওয়ায় ও আব্দুল কাদের দ্বিতীয় স্ত্রী সুরাইয়ার প্রতি সঠিক ভাবে
দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে না পারায় সম্প্রতি সুরাইয়া আব্দুল কাদেরের
বির“দ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন।
গৃহবধু সুরাইয়া বলেন,আব্দুল কাদের আমাকে কয়েক বছর ধরে পিতামাতার বাড়ীতে
ফেলে রেখেছে। আমাকে সঠিক ভাবে খোরপোষ ও দেখাশোনা করে না। ফলে তার সাথে
আমার বিরোধ সৃষ্টি হয়। আমি বাধ্য হয়ে আদালতে তার বির“দ্ধে মামলা করি।
মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর আব্দুল কাদের আমার সাথে আপস করবে শর্তে আদালত
তাকে জামিন দেয়। কিন্ত ‘ আব্দুল কাদের জামিনে মুক্ত হয়ে আমাকে নানা ভাবে
হুমকি ধামকী দিতে থাকে। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে আব্দুল
কাদের আমার বাড়ীতে যায় এবং আমাকে স্বে”ছায় তাকে তালাক দেয়ার জন্য হুমকি
দেয়। আমি প্রতিবাদ করলে সে আমার ওপর চড়াও হয়ে আমাকে কাঠের বাটাম দিয়ে
বেধড়ক পিটিয়ে ডান হাত ভেঙ্গে দেয়। এ সময় আমার বৃদ্ধা মা জামেলা খাতুন(৬০)
ও আমার শিশু সন্তান আফ্রিদি(১০) আর্তচিৎকার দিলে আব্দুল কাদের তাদেরকেও
মারপিট করে জখম করে। প্রতিবেশীরা ছুটে গেলে আব্দুল কাদের পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাবেক মেম্বার আব্দুল কাদের মোবাইল ফোন নম্বরে
যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনের সংযোগটি বন্ধ থাকায় ঘটনার ব্যাপারে তার
মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন, ঘটনার ব্যাপারে একটি
লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহন করা।