আলমডাঙ্গায় বজ্রপাতে বধ্যভূমির মূল স্তম্ভে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখতে সরেজমিন পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের মানমীয় সংসদ সদস্য চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
গত বৃহস্পতিবার আলমডাঙ্গায় সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির সাথে মাঝে মাঝেই প্রচন্ড জোরে বজ্রপাত হতে থাকে। বজ্রপাতে বধ্যভূমির স্তম্ভর উপর নির্মিত মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতি সম্বলিত কিছু দৃশ্য ভেঙ্গে যায়। বধ্যভূমির স্তম্ভর উপর পাকা দেওয়ালে ফাটল দেখা গেছে। বধ্যভূমির মিউজিয়ামের ভেতর সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল পুড়ে যায়।
গতকাল বিকেল ৩টা দিকে আলমডাঙ্গায় বজ্রপাতে বধ্যভূমির মূল স্তম্ভে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখতে সরেজমিন পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের মানমীয় সংসদ সদস্য চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। তার সাথে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর,উপজেলা প্রকৌশলী আরিফ উদদ্দৌলা,আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মূসা,সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলি মাস্টার,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি লিয়াকত আলি লিপু মোল্লা, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আহবায়ক সাজ্জাদুল ইসলাম স্বপন, কালিদাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন,কুমারী ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সাঈদ পিন্টু,ডাউকি ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তরিকুল ইসলাম,বেলগাছী ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মাহামুদ হাসান চঞ্চল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার প্রমুখ।
আলমডাঙ্গায় অবস্থতি বধ্যভূমির মূল স্তম্ভে বজ্রপাতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এসময় বজ্রপাত বধ্যভূমির মূল অংশের উপর পড়ে। বজ্রপাতে মুহুর্তেই ভেঙ্গে যায় বধ্যভূমির মুল স্তম্ভের মানুষের মাথার খুলিগুলো, নারী ভাস্কর্যর্টি ও পাকা দেওয়াল কিছু অংশ। বধ্যভ‚মি মিউজিয়ামের সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল পুড়ে যায় । ফাটল দেখা যায় বধ্যভ‚মির মুল স্তম্ভের অনেক জায়গায়। বৃহস্পতিবার সকালে মুষলধারে বৃষ্টির সাথে শুরু হওয়া বজ্রপাত এঘটনা ঘটে।
বধ্যভূমির স্মৃতিতে রয়েছে ১৯৭১ সালের পাকহানাদার বাহিনির সদস্যরা নিরহী বাঙালিদের নির্মম ভাবে হত্যা করে পুতে রাখে। সহস্র যন্ত্রণায় শহীদ মা-বোনের নীল কাতরানি।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমার নদের উপর অবস্থিত রেললাইনের পাশে লালব্রিজের দুপাশে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। রেলব্রিজের দুপাশেই ট্রেন থামিয়ে সাধারন মানুষ নামিয়ে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন শেষে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ এ বধ্যভূমিতে ফেলে রাখতো পাকবাহিনি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের সংসদ সদস্য চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের উদ্যোগে শুরু হয় বধ্যভূমি নির্মাণের প্রাথমিক কাজ। সে সময় জিকে ক্যানেলের ঢালে বসবাসকারী ছিন্নমূল কয়েকজন মানুষ খোঁড়াখুঁড়ি করার সময় লাশের বহু হাড় মাটির নিচ থেকে বের হতে থাকে। এ স্থানটি সংরক্ষণ করা হয় বধ্যভূমি নির্মাণের জন্য। ২০১২ সালে বধ্যভূমি স্তম্ভ নির্মান করা হয়।