পুঠিয়ায় ক্লিনিকে ‘সিজার’ করে সন্তান প্রসবের সময় এক নারীর মূত্রনালি কেটে ফেলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। গত বুধবার এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসাল্টটেন্ট বিধান কুমার ফৌজদারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, গত ১০ আগস্ট পুঠিয়ার ফাতেমা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভর্তি হন প্রসূতি আসমা বেগম। ফাতেমা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক মেরিনা আকতার ও ক্লিনিক মালিক রুবেল মণ্ডল প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে বলেন, বাচ্চার পজিশন ভালো না। জরুরিভাবে ‘সিজার’ করতে হবে। ওই দিন সন্ধ্যায় সিজারের মাধ্যমে আসমা একটি ছেলেসন্তান প্রসব করে। সিজারের পর থেকে তার প্রস্রাব ঝরছে। অপারেশন করেন ক্লিনিক মালিক রুবেল মণ্ডল।
ঘটনারর পুঠিয়া থানায় অভিযোগ করেন আসমা বেগমের স্বামী তাছের হোসেন । গত ৪ সেপ্টেম্বর থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন-গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মেরিনা আকতার, ক্লিনিক মালিক রুবেল মণ্ডল ও সহযোগী সাগর আহম্মেদ।
তাসিব আলী বলেন, অপারেশন করার পর থেকে আমার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার ক্রমে অবনতি হচ্ছিল। ফাতেমা ক্লিনিক থেকে জানানো হয়েছিল এই সমস্যা কিছুদিনের মধ্যে কেটে যাবে। কিন্তু আমার স্ত্রীর অবস্থা দিনদিন আরও খারাপ হচ্ছে। পরে আমরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, তার মূত্রনালি কেটে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই স্ত্রীর চিকিৎসা চলছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা আবদুল মতিন বলেন, ফাতেমা ক্লিনিকের বিরুদ্ধেধ অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে ব্যবস্থ্য নেবো।