রাজশাহী জেলার মোহনপুর থানা এলাকায় মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড।
রোববার দুপুরে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ এর বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামী হলেন, মহব্বত আলী (২৮)। তিনি মোহনপুর উপজেলার গোপাইল গ্রামের বাসিন্দা। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাসরিন আখতার মিতা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় আসামীর বয়স ছিল ২১ বছর। আর এখন ২৮ বছর। ঘটনাটি ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর বিকেলের। সেদিন বিকেলে মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ১৩ বছরের মানসিক প্রতিবন্ধী এই কিশোরীকে শাড়ি কিনে দেওয়ার কথা বলে পাশের একটি ফল বাগানে নিয়ে যায় মোহাব্বত আলী। বাগানে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে মোহাব্বত।
এরপরে পরিবারের সদস্যরা ধর্ষণের বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারে ওই এলাকার মহব্বত আলীর সাথে তাদের মানসিক প্রতিবন্ধী ওই মেয়েকে দেখা গেছে। তাই এই ঘটনায় মোহাব্বত আলীকে আসামী করে মোহনপুর থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের মা। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। পরে তাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
এরপর আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষ হয়। এতে আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় রোববার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সাজার রায় ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর আদালতের নির্দেশে তাকে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।