র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ র্যাব-৬, (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, খুলনা জেলার রূপসা থানাধীন জাবুসা মধ্যপাড়া এলাকায় একটি বাড়ীতে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুশ করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি একই তারিখ আনুমানিক বিকাল ৫ টা থেকে ৮টা পর্যন্ত সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, রূপসা, খুলনার সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধভাবে চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য (জেলী) পুশ করার দায়ে সংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীদের মৎস্য ও মৎস্য পণ্য নিয়ন্ত্রণ (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০২০ এর ৩৩ ধারা মোতাবেক ১। আলাউদ্দিন গাজী (৪৮), থানা-রূপসা, জেলা-খুলনাকে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ২। মোসাঃ সালমা বেগম (৩৫), থানা-রূপসা, জেলা-খুলনাকে ৩৫,০০০/- (পঁত্রিশ হাজার) টাকা, ৩। মোঃ রানা (২৯), থানা-রূপসা, জেলা-খুলনাকে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৪। মোঃ মামুন (২৭), থানা-রূপসা, জেলা-খুলনাকে ৩০০০/- (তিন হাজার) টাকা এবং ৫। মোঃ বাবু শেখ (৩২), থানা-রূপসা, জেলা-খুলনাকে ৪,৫০০/- (চার হাজার পাঁচশত) টাকাসহ সর্বমোট =৫২,৫০০/- (বায়ান্ন হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা প্রদান করেন। অভিযান পরিচালনার সময় উক্ত বাড়ী হতে ১। জেলী পুশকৃত চিংড়ি-১০০ কেজি যার আনুমানিক মূল্য ৮৭,০০০/- টাকা, অপদ্রব্য জেলী-১০ কেজি, ৩। জেলী পাউডার-০২ কেজি এবং ৪। অপদ্রব্য পুশ করার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে জব্দ কৃত চিংড়ি মাছ ও অপদ্রব্য পুশ করার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়।
জরিমানার অর্থ সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ তাৎক্ষনিক প্রদান করায় সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।