বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সোমবার নয়াদিল্লিতে স্বাগত জানান ভারতের বস্ত্র ও রেলপথ প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জারদোশ। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সরকারি মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এক টুইটে বলেছেন যে শেখ হাসিনার সফর দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।
টুইটে তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নয়াদিল্লিতে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন রেলওয়ে ও টেক্সটাইলের মন্ত্রী দর্শনা জারদোশ, এই সফর দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।”
চারদিনের সফরে আজ সকালে ভারতে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রয়েছে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা উন্নতি করা, আঞ্চলিক সংযোগের উদ্যোগ সম্প্রসারণ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা।
সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জগদীপ ধনখরের সাথে দেখা করবেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি।
এছাড়া দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও এই সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ২০২১ সালে উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ তম বছর হওয়ার পর এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ভারত সফর।
ভারত ও বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ পুনরুজ্জীবিত করার পাশাপাশি আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য একটি মডেল তৈরি করতে চেয়েছে। আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ শীঘ্রই পুনরায় চালু হবে, এবং আশা করা হচ্ছে যে আগরতলা ও চট্টগ্রাম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আকাশপথে সংযুক্ত হবে।
শেখ হাসিনার সফরে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধেয় সুফি সাধক মঈনুদ্দিন চিশতির দরগাহ পরিদর্শন করতে রাজস্থানের আজমিরে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতির অধীনে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। সহযোগিতা নিরাপত্তা, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পরিবহন ও সংযোগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, নদী এবং সামুদ্রিক বিষয়সহ সব ক্ষেত্রেই দুই দেশ সহযোগী ভূমিকা পালন করে আসছে।
এছাড়া বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। গত পাঁচ বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
কোভিড মহামারী সত্ত্বেও, উভয় দেশ গুরুত্বপূর্ণ আদান-প্রদানে অগ্রগতি অর্জন করেছে।