নড়াইল সদর নড়াইল সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের একটি বাস্ত জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। নালিশি জমিতে হেক্সভেটার দিয়ে মাটি কেটে গাছ পাল কেটে সমান করা হচ্ছে। গুন্জন উঠেছে বহুতলা ভবন নির্মাণ করা হবে এই জমিতে। যানাগেছে, নড়াইল সদর উপজেলার অর্ন্তগত ৯৬ নং গোবরা মৌজার হাল মালেক এবং সাবেক দাগ নং ১৫৯৫ নং দাগের হাল ৩২২৯ নং দাগের বাস্ত জমি ৫৭ শতকের মধ্যে আম- মোক্তার কৃত ১৯ শতক। সেই সাথে সাবেক দাগ নং ১৫৯৯নং দাগের হাল ৩২০৪ দাগের বাস্ত জমি ৭৪ শতকের মধ্যে আম- মোক্তর কৃত জমি ৬ শতক মোট ২৫ শতক। এস এ ১০৪৩ ও ৮৫৫ নং খতিয়নের রেকর্ডীয় মালিক দীনবন্ধু গং। তার কোন পুত্র সন্তান ছিল না। তার ৩ কন্যার ২ জন দীর্ঘদিন পূর্বে ভারতে চলে গেছে। বড় কন্যা বিউটি রানী তার সন্তান নিয়ে ওই জমিতে বসত করতেন। হঠাৎ বিউটি অসুস্থ হওয়ার কারনে চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন হলে ওই জমি বিউটি রানীর ছেলে সোহাগ রায় বিল্লালের নিকট বিক্রি করেন। জমিটি বিল্লাল তার মাতা আয়তোন্নেছার নামে দলিল করেন। দলিলকৃত জমিটি দখল বুঝে নিয়ে পেশাগত কাজে বেল্লাল জেলার বাইরে চলে যায়। হঠাৎ শুনতে পায় দীনবন্ধুর ভাইপো পল্টু বিক্রিত ওই জমি দীনবন্ধুর ছেলের নিকট হতে ক্রয় করে জমির মালিক বনে গেছে এবং ওই জমি নিউটনের নিকট বিক্রি করেছেন। নিউটন আবার সেই জমি অন্য কারো নিকট বিক্রি করেছেন। জমিতে দখল দিতে গেলে বেল্লাল বাধা প্রদান করে। আদালদে মামলা করেন।
আদালত উক্ত জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ওই চক্র জমি দবর দখল করছে। হেক্সবেটার দিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল করে নিচ্ছে।
অতচ মামলাটি মহামান্য হাইকোর্টে বিচারধীন রয়েছে।
বেল্লালের মা আয়তোন্নেছা বলেন, আমার ছেলে জমিটুক কিনতে গিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা লোন করেছে। সুদি করে টাকা এনেছে। এখন আমাদের ক্রয়কৃত জমিটুক জোরপূর্বক জবর দখল করে নিয়ে যাচ্ছে । আমি প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করি। এঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করি। ক্ষতি গ্রস্থ বেল্লাল বলেন, পেশাগত কারনে বাড়িতে থাকতে পারি না। আমার অনেক কষ্টের টাকা দিয়ে ধার দিনা হয়ে জমিটুক রাখছি। এখন জবর দখল হয়ে যাচ্ছে। বাড়িতে আমার বৃদ্ধা মা থাকে। আমি কিভাবে জমি রক্ষা করব। এ দিকে অভিযুক্ত পল্টু বলেন, আমি আমার বড় কাকার ছেলের নিকট হতে জমি কিনেছি। বেল্লাল কিনেছে বোনের নিকট হতে। হিন্দু আইনে বোন জমি পায়না।
প্রশ্ন উঠেছে দীনবন্ধু কোন পুত্র সন্তান ছিল না। তাহলে পল্টু কার নিকট হতে জমি ক্রয় করল। এ বিষয়টি সঠিক তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।