দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার, ডোনেট বাংলাদেশ ও ক্রাইম নিউজ ২৪ ডট নেট, দৈনিক ডেসটিনি রাজশাহী প্রতিনিধি এনায়েত উল্লাহ কে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেছে চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি লিটন।
গত ১৬ জুলাই শনিবার দিবা গত রাত্রি ৮:৩০ ঘটিকায় সময়। সাহাপুর পশ্চিমপাড়া আলামিনের “চা স্টল” থেকে তাকে টেনে হেঁছড়ে নিয়ে যান, চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি লিটন ও তার দলবল। অবৈধ আগ্নে অস্ত্র মাথায় ঠেকিয়ে সাহাপুর মোড় থেকে বল পূর্বক তুলে নিয়ে গেলেও কিছুই করার ছিলো না জনতার।
স্থানীয়রা জানান, সাহাপুর পশ্চিমপাড়া, আলামিনের”চা স্টলে” বসে ছিলেন, এনায়েত উল্লাহ। হঠাৎ সাহাপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে লিটন অবৈধ অস্ত্র ধারী ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল নিয়ে “চা স্টলে” আসে এবং এনায়েতের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে জামার কলার ধরে সাহাপুর মোড়ে নিয়ে যায়। তারপর এনায়েতের কাছে থাকা ক্যামেরা ব্যাগপত্র ছিনিয়ে নিয়ে একটি মোটর সাইকেলের মাঝে বসিয়ে উত্তরে কাটাখালী থানার দিকে মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে চলে গেছে। এবিষয়ে আমরা মর্মহত। আগ্নীয় অস্ত্র তাক করায় আমরা কেহ কথা বলার সাহস পাইনি।
এব্যারে সাহাপুর মোড়ের দোকানদারগন বলেন, ইউসুফপুর, ইউপি ৩নং ওর্য়াডের যুবলীগের সভাপতি, মো. লিটন, পিতা- মৃত লুৎফর, ঠিকানা- সাহাপুর পশ্চিমপাড়া, পো- চৌমুহনী বাজার, থানা-কাটাখালি, জেলা- রাজশাহী’র পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার নেতৃর্ত্বে ৫/৬ টি মোটর সাইকেলে প্রায় ১০/১২ জনের একটি দল সন্ত্রাসী (তাদের দেখলে আমি চিনতে পারবো) আসে। সেখানে মানুষ জনের মধ্যে থেকে লিটন এনায়েতের মাথায় এক হাত দিয়ে পিস্তল ঠেকিয়ে, অন্য হাত দিয়ে জামার কলার ধরে টানতে টানতে প্রথমে সাহাপুর মোড়ে নিয়ে এসে এনায়েত কাছে থেকে ক্যামেরা ব্যাগপত্র কেড়ে নেয় এবং একটি মোটর সাইকেলের মাঝে বসিয়ে বেলঘড়িয়া বাদলের মোড়ের দিকে নিয়ে গেছে। তারা আরও জানান, একজন ইছমাগলার, অস্ত্র ব্যবসায়ী কালো বাজারি, সোর্সের দাপটে আমরা অশান্তিতে থাকি। তার বিরুদ্ধে কেহ মূখ খোলার সাহস পাইনা। সরকারের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি লিটনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
এ বিষয়ে এনায়েত উল্লাহ বলেন, সাহাপুরে আমি জমি কিনা-বেচা করছি। আমার নিয়ন্ত্রনে ৪-৫টি জমি আছে। এটা লিটনের সহ্য হচ্ছে না। সে আমার একটা জমি তার নামে ফ্রিতে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। বিষয়টি আমি এলাকাবাসী, মন্ডল প্রধান, মেম্বার, চেয়ারম্যানগন সকালকে জানিয়েছি। এর পর’ই লিটন আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। গত ১৬ জুলাই শনিবার রাত্রি ৮:৩০ ঘটিকায় সময়। আলামিনের চা ষ্টলে বসে ছিলাম। হঠাৎ লিটন অস্ত্র ধারী সন্ত্রাসী ১০/১২ জনের এক বাহিনী নিয়ে এসে আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে প্রথমে সাহাপুর মোড়ে যান। সেখানে জনসম্মুখে আমার কাছে থাকা একটি ব্যাগ, ব্যাগে থাকা লক্ষাধীক টাকা, একটি ডিএসএলআর ৮০ডি, ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন যাহার মূল্য ৮০,০০০;- নব্বই হাজার টাকা। পরে একটি মোটর সাইকেলের মাঝে বাসিয়ে উত্তর দিকে বেলঘড়িয়া বাদলের মোড় দিয়ে থানার দিকে একটি আমবাগানে নিয়ে যায়। যাহা এলাকাবাসীগন স্ব-চক্ষে দেখেছেন। পরে লিটন ৩টি ফাঁকা ননজুডিশিয়্যাল ষ্টামে আমাকে স্বাক্ষর করায়। সেখান থেকে টাঙ্গন এলাকায় জৈনক ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী রুবনের বাসায় নিয়ে যান। এবং রুবনের কাছে থেকে ৯টি ফেনসিডিল বাকিতে ক্রয় করেন। প্রতিটি ফেনসিডিলের মূল্য ১,৫০০/- (এক হাজার পাঁচশত) টাকা। মোট মূল্য- ১৩,৫০০/- (তের হাজার পাঁচশত) টাকা। সেখানে লিটন আমাকে বলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে রুবন কে ফেনসিডিলের ১৩,৫০০/- (তের হাজার পাঁচশত) টাকাটা পরিশোধ করে দিবি। পরিশেষে রাত্রি অনু: ১০ টার পর লিটন মোটর সাইকেল যোগে আমাকে মাসকাটাদিঘী, নর্থবেঙ্গল ইন্টার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গেটে নামিয়ে দিয়ে যায়।
আমি প্রমান রাখার সার্থে সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করেছি এবং কৌসলে সেখানকার লোকেশান প্রমান স্বরুপ একজন পুলিশ অফিসারের কাছে একটি ফোন করি। পরে গত ১৮/০৭/২২ ইং তারিখ। আমার ব্যবহিত মোবাইল ফোন নাব্বর ০১৭১৬-২৫৯৮৫৯, থেকে বিকাশে রুবনের ০১৮৬৫৮৪২১২৮ নব্বর ফোনে ৪,৯০০/- (চার হাজার নয়শত) টাকা প্রদান করেছি। অবশিষ্ট ৮,৫০০/- (আট হাজার পাঁচশত) টাকা নগদ প্রদান করি। যাহার প্রমান রয়েছে। আগামি ৩০শে জুলাই আমার মেয়ের সহকারি জজ নিয়োগ পরিক্ষা থাকায় কয়েক দিন চুপ থাকি।
অবশেষে গত ২৭/০৭/২০২২ ইং তারিখে আমি প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছি। ঘটনার বিষয়ে আমি আতংকিত আছি। আমার জীবনের নিরাপত্তা নেয়। লিটন এখনো আমাকে প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে।