কক্সবাজারে ইমন হাসান মওলা (২৪) হত্যা কান্ডের মূল হোতা আব্দুল্লাহ খান উরুফে আব্দু খানকে (২৭) গ্রেফতার করেছে র্যাব। এই ঘটনায় সন্দেহবাজন আরো দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
ধৃত ব্যক্তি কক্সবাজার পৌর শহরের পেশকার পাড়ার খাইরুল আহমদের ছেলে।
রবিবার (২৪ জুলাই) ভোরে টেকনাফ উপজেলার কচুবনিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত যুবক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যাকান্ড সংগঠিত করা হয় এবং ঘটনায় সে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ বিল্লাল উদ্দিন।
রবিরার র্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ধৃত আব্দুল্লাহ খানের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গেলো বছরের শেষের দিকে কক্সবাজার শহরে ইমন হাসান মওলার বাবার সাথে আব্দুল্লাহ খান ও তার সহযোগীদের সাথে বাগবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে ইমন ও আব্দুল্লাহ খানের সহযোগিদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার জেরধরে আব্দুল্লাহ খান এর পরিবার ইমন ও তার সহযোগিদের নামে একটি মামলা দায়ের করে। (যার এফআইআর নং কক্স সদর-৪১/৬৭৯)। ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে আব্দুল্লাহ খান সুযোগ খুঁজতে থাকে এবং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২১ জুলাই রাতে হত্যাকান্ডটি সংঘটিত করে। হত্যাকান্ডে আব্দুল্লাহ খান এবং তার সহযোগীরা ১ টি চাপাতি ও ১ টি ছুরি ব্যবহার করে।
এদিকে, রবিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে ইমনের বাবা বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ৮ জন এজাহার নামীয় ও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার তদন্ত কর্মকরতা মো. সেলিম উদ্দিন জানান, এই হত্যাকান্ডে সন্দেহভাজন ২ জনকে গ্রেফতার করে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২১ জুলাই রাত সাড়ে ৯ টার দিকে কক্সবাজার শহরের পেশকার পাড়া সংলগ্ন সিকো বরফ কল পয়েন্টে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয় ইমন হাসান মওলা। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনকভাবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে মারাযায়।