নড়াইলের বিভিন্ন গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বল্প খরচে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করছেন পল্লী চিকিৎসক জনক কুমার দাস। তিনি বাংলাদেশ পল্লী চিকিৎসক কল্যান সমিতির নড়াইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। সততা ও নিষ্ঠার সাথে তিনি জেলায় স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করছেন। রাতের আঁধারে বাড়িতে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন। অধিকাংশ রোগী তার চিকিৎসা সেবায় সুস্থ হয়েছে। পল্লী চিকিৎসক জনক কুমার দাসের বাড়ি নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের তুলারামপুর গ্রামে। স্থানীয়রা বলেন, এলাকায় তার মত এক জন চিকিৎসক থাকায় আমরা বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হচ্ছি। করোনাকালীন সময়ে তিনি তার৷ জীবনের মায়া ত্যাগ করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দিয়েছেন। তুলারামপুরের মিজান বলেন, আনার স্ত্রী রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। গভীর রাতে আমি কোথায় যাবো। গাড়ি পাচ্ছিলাম না। জনক বাবুকে ফোন করলে সাথে সাথে এসে ঔযুধ দিলে আমার স্ত্রী সুস্থ হয়ে যায়। অপর দিকে বনগ্রামের ঝর্ণা রানী বলেন, আমাদের পরিবারের কারো কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে জনক বাবুকে ডাকি। তার চিকিৎসায় আমারা ভাল হয়ে যাই। সম্প্রতি মহাজন বাজারে রোগী দেখতে গেলে তাকে একটি মহল হেনেস্থা করেন। এক জন সৎ পল্লী চিকিৎসককে এভাবে হেনেস্তা করার নিন্দা জানাচ্ছিেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এ বিষয়ে জানতে পল্লী চিকিৎসক জনক কুমার দাস বলেন, আমরা পল্লী চিকিৎসক । স্বল্প খরচে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করি। আমাদের কাছে যদি কেউ কিছু দাবি করেন। আমরা দিতে না পারলে বিষয়টা ভিন্ন খাতে প্রভাবিত হয়। আমরা সঠিক ভাবে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে পারি সেই সু-ব্যবস্থা প্রদানে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করি।