রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুরহাট নতুনপাড়া এলাকায় চাঁদ রাতে মোছা. আমিনা বেগম (৫০) নামে এক বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় তার কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে যায় হত্যকারীরা। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (১২ জুলাই) পুঠিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের ভাই।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, বিনা খাতুন নামে এক প্রতিবেশীর কাছে সাড়ে ৯ লাখ টাকা পেতেন নিহত আমিনা। ২০১১ সালের ১৮ মে ৮৬ শতাংশ জমি বন্ধক রেখে আড়াই লাখ এবং পরবর্তীতে দুটি ব্যাংক চেক প্রদান করে আমিনার কাছে আরো ৭ লাখ টাকা নেন বিনা। তবে টাকা ফেরত না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকেন তিনি। আমিনা স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে সালিশে বসলে টাকা ফেরত দিতে সময় চান বিনা। তবুও টাকা পরিশোধ না করায় পাওনাদার আমিনা ৭ লাখ টাকার একটি চেক ডিজওনার করেন। এতে ক্ষীপ্ত হন বিনা। একবছর আগে শান্ত নামে স্থানীয় এক যুবক আমিনার বাসায় ঢুকে ৮০ হাজার টাকা চুরি করে ধরা পড়েন। তারা কয়েকজন একত্রিত হয়ে আমিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ঈদের আগের রাতে সুজন ও তার স্ত্রী বিনা, মোকলেছ ও শান্ত পরিকল্পনা মোতাবেক আমিনার বাসায় ঢুকে এবং শ্বাসরাধে হত্যা করে।
নিহতের ভাই ও মামলার বাদি মো. মুছা মিয়া বলেন, ঈদুল আজহার দিন বিকেলে আমার আরেক বোন সালমা খাতুন কোরবানির মাংস নিয়ে গিয়ে আমিনার বন্ধ দেখেন বাসার দরজা। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে তাকিয়ে শয়নকক্ষের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন বোনকে। চিৎকার করে আশপাশের লোকজনকে ডাকলে তারা ঘরে ঢুকে আমিনাকে মৃত অবস্থায় দেখেন। মুছা মিয়া জানান, আমিনার গলার ডান পাশে নখের আচড়ের চিহ্ন এবং গলার বাম পাশে থুতনির নিচে ও বাম চোখের কোণে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
এছাড়া তার শরীরের সব স্বর্ণালঙ্কার ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে যায় হত্যকারীরা। এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।