রাজশাহীতে মারধরের অভিযোগে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডলকে আটক করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে স্ত্রীকে মারধর করেন মমিন মন্ডল। তার মারধরে অসুস্থ হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তার স্ত্রী। এর আগে ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে মারধরের অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে আটক করে বাঘা থানায় নিয়ে আসে পুলিশ ।
আব্দুল মমিনের স্ত্রীর অভিযোগ, তার স্বামী অধিকাংশ সময়ে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় বাড়িতে ফিরে কারণে-অকারণে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এর প্রতিবাদ করলেই চলে নির্যাতন। এমনকি নেশাগ্রস্থ হয়ে সন্তানের সামনেও মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে দ্বিধাবোধ করেনা। শনিবার(২৬ জুন) দুপুরে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় বাড়িতে আসে। খাবার দিতে দেরি হওয়ায় অকঢ্য ভাষায় গালাগাল ও মারধর করে। তার মারধরে অসুস্থ হয়ে গেলে বাবার বাড়িতে খবর দেন প্রতিবেশিরা। তারা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বাঘা থানা পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করে উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ওই সময় মমিন মন্ডলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
মমিন মন্ডল জানান, বাড়িতে মাছ ছিল। সেই মাছ রান্না করতে বলে বাড়ি থেকে চর এলাকার মাঠে চলে যায়। সেখান থেকে দুপুরে বাড়িতে র্ফিরে জানতে পারি মাছ রান্না করেনি। এ ব্যাপারে স্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়ায় উল্টো আমার উপর ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে। তাকে শাসনের জন্য চড় খাপ্পর মারি। এর পর সে আরো ক্ষীপ্ত হয়ে কথা বার্তা বলে। যা সহ্য করতে না পেরে লাঠি দিয়ে কয়েকটা মেরেছি। তার দাবি,তাতে হাসপাতালে যাওযার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। আর নেশা করি এমন অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি তার।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শনিবার (২৬ জুন) শনিবার দুপুরে খায়েরহাট গ্রাম থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে গ্রামের মাতব্বররা স্ত্রীকে বুঝিয়ে মামলা করতে দেননি। স্ত্রীও কোন মামলা করতে রাজি না হওয়ার মুক্তি দেওয়া হয়।