ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার পোস্ট অফিস মোড় সংলগ্ন অধিকারী জুয়েলার্সের মালিক শ্রী দেবব্রত দেবু’র বিরুদ্ধে স্বর্ণ বন্ধক রাখার আড়ালে সুদের ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। জুয়েলার্স মালিক সমিতির নাম ভাঙ্গিয়ে সরকারি কোনো অনুমতি ছাড়াই দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা বন্দকী সুদে কারবার। উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের জাকির হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, পৌর শহরের বাস স্টান্ড পাড়ার আমার বিয়াই হানিফের নামে আমার মেয়ে জামাই সাংসারিক সমস্যার কারনে অধিকারী জুয়েলার্সের মালিক দেবুর কাছে ২১-১০-২১ তারিখে এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল ও একটা আংটি বন্ধক হিসেবে রেখে ১০ হাজার টাকা ধার নেন। এ বিষয় জানতে পেরে আমি ও আমার স্ত্রী গত বুধবার সকালে টাকা ফেরত দিয়ে স্বর্ণ ছাড়িয়ে আনতে গেলে দেবু বলেন স্বর্ণ আমি রাখলেও এটা মূলত রাখা হয় আমাদের জুয়েলার্স সমিতিতে। ১৭ হাজার টাকা দেন সমিতিতে টাকা দিয়ে আনতে হবে। আমরা ১৭ হাজার টাকা দিতে রাজি না হলে খুব খারাপ আচরণ করে আমার স্ত্রীর সাথে। তিন মাস পরে ছাড়িয়ে নেবো বলে বন্ধক রাখার সময় কোনো চুক্তি ছিলো না কতো টাকা লাভ দিতে হবে। বলেছিলো অল্প কিছু টাকা লাভ দিয়ে জিনিস নিবেন। ছয় মাস পার হাওয়ায় ৭ হাজার টাকা লাভ চান। পরে অনেক দর কসাকসির পরে ১৪ হাজার ৫০০ শত টাকা নিয়ে ফেরত দেন স্বর্ণ। এ বিষয় অধিকারী জুয়েলার্সের মালিক দেবব্রত অধিকারী ওরফে (দেবু) জানান, বন্ধকি ব্যাবসা ঔ ভাবে করি না। তবে দুই এক জনের কথা ফেলতে পারিনা তাই অনেক সময় নিতে হয়। মাসিক শতকরা দশ টাকা হারে লাভ অংশ নেওয়া হয়। সেই হিসাবে সাত মাসে ৭ হাজার টাকা লাভ সহ ১৭ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিলো। এটা আমি ব্যক্তিগত ভাবে রাখি না। আমি নিয়ে আমাদের জুয়েলার্স মালিক সমিতিতে রাখি সেখানে লাভ অংশের টাকা জমা দিতে হয়। জুয়েলার্স মালিক সমিতির সভাপতি শ্রী শংকর ভৌমিক বলেন, এটা সম্পুর্ন মিথ্যা কথা সুদে ব্যাবসা। কোটচাঁদপুর জুয়েলার্স মালিক সমিতি অবৈধ বন্ধকী বা সুদে ব্যাবসা করে না। যে করে সে তার ব্যক্তি গত ভাবে করে। বন্ধকী ব্যাবসা করতে সরকারের অনুমতি বা লাইসেন্স লাগে সেটা আমাদের নেই। যে করবে দায় ভার তার।