বাংলাদেশে খুচরা বাজারের প্রায় ৯৮ শতাংশ কেনা-বেচা হয়ে থাকে দেশজুড়ে পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৪৫ লাখেরও বেশি মুদি দোকানের মাধ্যমে। একাধিক সাপ্লাইয়ার, ডিস্ট্রিবিউটর এবং পাইকারদের কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহের সময়ে এই দোকানগুলো প্রতিনিয়ত অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। পণ্যের স্বল্পতা, মূল্যমানের অনিশ্চয়তা, এবং পূর্ণাঙ্গ ডেলিভারি সহায়তার অভাবে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত হয় প্রতিদিন। এই মৌলিক সমস্যাগুলো বাধা হয়ে দাঁড়ায় ক্ষুদ্র ব্যবসার পথচলায়।
এইসব সমস্যার সমাধানে খুচরা বিক্রেতাদের জন্য সকল প্রকার পণ্য নিয়ে ডিসেম্বর ২০১৯-এ যাত্রা শুরু করে বিটুবি ই-কমার্স প্লাটফর্ম মোকাম। মোকামে অর্ডারের পরদিনই পাড়ার মুদি দোকানের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় পণ্যের সমাহার। এটি সম্ভব করতে মোকাম দেশের বৃহত্তম উৎপাদনকারী এবং পরিবেশকদের সাথে চুক্তিতে গিয়ে নিশ্চিত করে ঠিক দামে সব পণ্য। ফলে, দোকানীরা একই অ্যাপের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ না করেই বাকিতে পণ্য ক্রয় করতে পারে।
বর্তমানে দেশের ৬০টির বেশি জেলায় নিরবচ্ছিন্ন পণ্য সরবরাহ করছে মোকাম। যেকোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ কিংবা লকডাউনেও মোকাম নিশ্চিত করে দোকানীর দোরগোড়ায় কাঙ্ক্ষিত পণ্যের নিশ্চয়তা। আর এরই স্বীকৃতি স্বরুপ অতি সম্প্রতি, দেশের সেরা বিটুবি ই-কমার্স প্লাটফর্মের সম্মাননা অর্জন করে মোকাম। এছাড়া, গ্লোবাল ইকোনমিক্স থেকে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধমান বিটুবি ই-কমার্স প্লাটফর্মের স্বীকৃতিও পায় মোকাম।
হবিগঞ্জে মোকামের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ২০২১ নভেম্বর মাসে। মাত্র তিন জনের লোকবল দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ৩0 জনের মোকাম টিম হবিগঞ্জ শহরে কাজ করছে। এবার, আরও বড় পরিসরে মোকামকে ব্যবসায়ীদের কাছে ছড়িয়ে দেবার প্রত্যয়ে আজ সন্ধ্যায় নগরীর তেঘরিয়া আবাসিক এলাকায়, নতুন অফিস উদ্বোধন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক ও সুধী সমাজের মানুষরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে হবিগঞ্জ শহরের মাননীয় এমপি এডভোকেট. মোঃ আবু জাহির প্রধান অতিথি। সাইদুর রহমান, সাদিকুর রহমান মুকুল ফজলুর রহমান, নায়েব হোসেন সহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিগত অংশগ্রহণ করেন।
এবং উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মোকাম লিমিটেড এর টেরিটোরি সেলস ম্যানজার সাফওয়াত মাহদী রাহাত, টেরিটোরি ফুলফিলমেন্ট ম্যানেজার সৈয়দ মোহাইমিনুর রহমান এবং মোকাম হবিগঞ্জ শাখার সকল স্টাফ ।
অতিথিরা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাতে মোকামের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলার প্রশংসা করেন ও আগামীর দিনগুলোতে মোকামের সাফল্য কামনা করেন। মোকামের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে যে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে তার ফলে এলাকার সামগ্রিক উন্নতি হওয়ায় মোকামের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তারা।
উল্লেখ্য যে, মোকাম দেশীয় স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান শপআপের একটি উদ্যোগ। শপআপের মোট বিনিয়োগ ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা দেশের ইতিহাসে স্টার্ট-আপে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ। গতবছর, শপআপ ৭৫ মিলিয়ন ডলারের ‘সিরিজ বি’ বিনিয়োগ পায় যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রযুক্তি ভিত্তিক বিটুবি প্লাটফর্মের জন্য সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। মোকামের চীফ অফ স্টাফ জিয়াউল হক বলেন, “খুচরা বিক্রেতাদের জীবনকে বদলে দেয়ার যে প্রত্যয়ে মোকামের যাত্রা শুরু তা বাস্তবায়নে আরও এগিয়ে যেতে চাই আমরা। খুচরা, পাইকারি বিক্রেতা আর মোকাম পার্টনার সবাইকে নিয়েই আমাদের মোকাম পরিবার”।