রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক এর নির্দেশে রাজশাহীকে অপরাধমুক্ত, ছিনতাইমুক্ত ও মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী মহা: গোয়েন্দা পুলিশের অতি: উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃআরেফীন জুয়েলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে,নেতৃত্বে অতি; উপ পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মহানগরীতে নারী দিয়ে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসিয়ে অর্থ আদায় চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এদের মধ্যে দুজন নারীও আছেন। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতি: উপ পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ আরেফীন জুয়েল এর সার্বিক নির্দেশনায় তার সদস্যরা শুক্রবার(০৪ জুন)সন্ধ্যায় নগরীর ডিঙ্গাডোবা এলাকার এক বাড়ি থেকে আসামীদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজন আসামীগণ হলেন-১।হানিফা খাতুন (৩১), স্বামী মো. মুন্না(৩৫), পিতা মোঃ আব্দুল মমিন, উভয়সাং ডিঙ্গাডোবা ব্যাংক কলোনী নিমতলা ঘোষমহল ৩। মো. মনিপ (২৭),পিতা মোঃ মশিউর রহমান,সাং ডিঙ্গাডোবা ব্যাংক কলোনী ৪।কবির হোসেন খিচ্চু (৩৩) পিতা মোঃ আতাহার আলী,সাং ডিঙ্গাডোবা নিমতলা,সর্ব থানা রাজপাড়া, .৫। ফরিদা বেগম (৪০)স্বামী মৃত দুলাল ওরফে শাহেন শাহ, সাং ডাইংয়ের হাট,থানা কর্মহার, মহানগর,রাজশাহী। নগর ডিবি পুলিশের উপকমিশনার আরেফিন জুয়েল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভিকটিম মোঃ আবু বক্কর ওরফে বাককার(৫৯) মোবাইল নং ০১৯২২৭৩১৯৪৩ , পিতা মৃত তসের মন্ডল মাতা মৃত আসমা বেগম,সাং ডিঙ্গাডোবা নিমতলা ঘোষমহল,থানা রাজপাড়া, মহানগর,রাজশাহী গত ২৬ মে হানিফা খাতুন এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে ফোন করে জানান, তার স্বামী ওষুধ কোম্পানীতে চাকরি করেন। তিনি ডিঙ্গাডোবা ব্যাংক কলোনী এলাকায় ভাড়া থাকেন। তারা ভাড়া বাসার কিছু পুরাতন জিনিসপত্র বিক্রি করে রাজশাহী থেকে দ্রুতই চলে যেতে চান। তাই এসব কেনার জন্য তিনি ওই ভাঙারি ব্যবসায়ীকে বাসায় ডাকেন।
সরল বিশ্বাসে ওই ব্যবসায়ী বাসায় গেলে তাকে আটকে রাখা হয়। প্রতারক চক্রের সদস্যরা হানিফার সাথে ওই ব্যবসায়ীর জোরপূর্বক আপত্তিকর ছবি তোলেন। এরপর তিন লাখ টাকা দাবি করেন। পরে ৫০ হাজার টাকায় দফারফা হয়। ওই ব্যবসায়ী তার কাছে থাকা নগদ ৪ হাজার টাকা দিয়ে মুক্তি পান। পরে ধারদেনা করে আসামিদের আরও ৩০ হাজার টাকা দেন। পরবর্তীতে তিনি ডিবি পুলিশের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দেন গত ইং ২৬/০৫/২০২২ ঘটনার তারিখের পরে।
পরে ওই ব্যবসায়ী বাকি ১০ হাজার টাকা দেওয়ার নামে আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত হন। এরপর পুলিশ তাকে ওই বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া ১০ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।