কক্সবাজারের টেকনাফে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড নামের প্রতিষ্টানটির বিরুদ্ধে বীমার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আত্মসাৎ নয় বরং পলেসি হোল্ডারের গাফেলতি বলে দ্বায়ীকরে পালটা বক্তব্য জানিয়েছেন প্রতিষ্টানটির ম্যানেজার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় থানায় আইনী প্রতিকার চেয়ে পলেসি হোল্ডার জাব্বারের লিখিত অভিযোগ মতে জানাযায়, বিগত ২০১৭ সালে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর মহিলা শাখায় ৩ বছর মেয়াদী একটি বীমা করেন। যার হিসাব নম্বর (০৯২৫৪৮১৭৩২৩)। প্রথম কিস্তিতে ১ লক্ষ টাকা জমা দেয়ার পর পলেসির মূল চুক্তিপত্র পরে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে শুধু মাত্র টাকা জমাদানের রশিদ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত শাখায় বেশ কয়েক বার গিয়ে ম্যানেজারের স্বাক্ষাত না পেয়ে ফেরত আসতে হয়েছে। ইতোমধ্যে বীমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর টাকা উত্তোলনের জন্য গেলে মূল কাগজ পত্রের অভাবে টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।
এই বিষয়ে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড এর টেকনাফ মহিলা শাখার ব্যবস্থাপক সমুদা বেগম জানান, ২০১৭ সালে আব্দুল জাব্বার ১২ বছর মেয়াদী একটি বীমা করে। চুক্তি পত্র অনুযায়ী প্রতি চার বছরে ৩ লক্ষ টাকা জমা দান করবে এবং প্রতি চার বছর পর দুই বার কোম্পানী প্রদত্ত নির্দিষ্ট পার্সেন্ট অনুযায়ী বোনাস পাবে এবং ১২ বছর শেষে প্রিমিয়ামসহ বোনাস বুঝে নিয়ে হিসাবটি বন্ধ করে দেয়া হবে। এদিকে গ্রাহক আব্দুল জব্বার হিসাব খুলার সময় প্রথমে ১লক্ষ টাকা জমা দেয়ার পর ৫ বছর পর্যন্ত কোন টাকা জমা দেয়নি, বরং চলতি বছর ফেব্রুয়ারীর দিকে জমাকৃত ১লক্ষ টাকা ফেরত দাবী করে। টাকা না দেয়ায় উলটো বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়ায়। এসব প্রোপাগান্ডা বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য টেকনাফ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সমুদার বক্তব্যের বিরোধীতা করে আব্দুল জব্বার জানান, শুরুর দিকে মূল চুক্তিপত্র সম্পাদনের জন্য আমার কাছ থেকে সরল বিশ্বাসে খালি চুক্তি পত্রে দস্তগত নিয়ে চুক্তি পত্রটি বিভিন্ন তাল বাহানায় গোপন রেখে ১লক্ষ টাকা আত্মসাতের পায়তারা করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে আমার সরল বিশ্বাসকে পুঁজি করে ওই চুক্তি পত্রে পাঁচ বছর পর ১২ বছর মেয়াদী পলেসি সৃজন করে একটি বানোয়াট চুক্তি পত্র আমাকে প্রদর্শন করে।
তিনি আরো জানান, এই বিষয়ে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সমুদার সাথে সৃষ্ট বিরোধকে সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে কিছু দিন পূর্বে “ম” অধ্যাক্ষরের একজন অনলাইন নিউজ পোর্টালের মালিক আমার কাছ থেকে অর্থ দাবী করে। দাবীকৃত অর্থ না পেয়ে তার মালিকানাধীন স্থানীয় নাম সর্বস্ব একটি অনলাইন পোর্টালে প্রতিবাদের নামে বানোয়াট গল্প ছাপায়। পরে বিষয়টি জানতে, গত ২ জুন সন্ধ্যায় তার সাথে কথা বলতে গেলে তিনিসহ আরো কয়েকজন মিলে আমার সাথে মারাত্বক বাজে ব্যবহার করে এবং আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আমি আমার স্বজনদের বিষয়টি অবগত করে ঘটনা স্থলে আসার জন্য ফোনে যোগাযোগ করি। ঠিক সে সময়ে ভিডিও ধারণ করে আমার বিরুদ্ধে একটি বানোয়াট অভিযোগ দাঁড় করে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।