বুধবার (১ জুন) বিকেল পৌনে ৬টায় শমসেরনগর ইউনিয়নের সীমান্ত ডাবলছড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। খুনের ৭২ ঘন্টার মধ্যে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
কমলগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পবিত্র শেখর দাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামি জহিরুলকে ডাবলছড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাবার চেষ্টাকালে ডাবলছড়া বাগানের বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপূর্বে বড় বোন মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ বিভিন্ন জায়াগায় অভিযান পরিচালনা করে এবং বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় নজর রাখা হচ্ছিল। বুধবার সে ডাবলছড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাবার সময় গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত (২৯ মে) রবিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আদমপুরের কেওয়ালীঘাট গ্রামে ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩১)’র ধারালো খুন্তির আঘাতে বাবা মা দু’জনকে গুরুতর আহত করলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে বাবা গফুর মিয়া মারা যান। নিহত গফুর মিয়া ঐ গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র । ঘটনার পর থেকে ছেলে পলাতক ছিলো। রাতে কথা কাথাকাটির জের ধরে এঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে নেয়ার পথে বাবা পথিমধ্যে মারা যান। মা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।