মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর বাজার এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের প্রায় দশ একর জায়গা থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়েছে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দুই শতাধিক কাঁচা-পাকা স্থাপনা। রবিবার থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
রবিবার(২৯ মে) সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর বাজার এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চলছে। শেরপুর বাজারের মৌলভীবাজার-শেরপুর সড়কের পূর্ব পাশে বুলডোজার দিয়ে কাঁচা ও পাকা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। ভেঙে পড়ছে টিন। উপড়ে ফেলা হচ্ছে লোহার খুঁটি, ভাঙা হচ্ছে একটার পর একটা স্থাপনা। অপর দিকে সড়কের পশ্চিম পাশে একই রকম বুলডোজার দিয়ে স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। এসব স্থাপনা ও দোকানের মালিক ভেঙে ফেলা ঘরের ইট, কাঠ, লোহার রড, টিনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র কুড়িয়ে নিচ্ছেন। কয়েক শ মানুষ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এ উচ্ছেদ অভিযান দেখছেন।
সওজ এর মৌলভীবাজার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে শেরপুর বাজার এলাকায় মৌলভীবাজার-শেরপুর সড়কের দুপাশে অবৈধভাবে সওজ’র জায়গা দখল করে অনেকে ছোটবড় পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা করছেন। অনেকে দোকানঘর তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন।
এসব দখলদারকে সওজ’র পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে অবৈধ দখল ছাড়তে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞপ্তির প্রতি কেউই গুরুত্ব দেননি। এদিকে সওজের পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা সরানোর জন্য ২৫ ও ২৬ মে শেরপুর বাজার এলাকায় মাইকিং করা হয়। কিন্তু কেউই জায়গা ছাড়তে চাননি। ফলে রবিবার থেকে সওজের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় এতে দুই শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ এবং অবৈধ দখল থেকে প্রায় দশ একর জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।
বর্তমানে এই জায়গার বাজারমূল্য প্রায় বিশ কোটি টাকা। উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা রহমান বাধঁন, এডিসি আব্দুল হক,সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়া উদ্দিন,সহকারী কািমশনার (এসিল্যান্ড) মুস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল হক (শিক্ষা ও আইটিসি) ।
অপরদিকে সদর উপজেলার সরকার বাজারে অভিযান পরিচালনা করার পূর্বেই দখলদাররা নিজ নিজ দ্বায়িত্বে অবৈধ স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিয়েছেন।
সওজ মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘আমরা অনেকবার দখলদারদের জায়গা ছাড়ার জন্য নোটিশ দিয়েছি। কিন্তু কেউ শোনেনি। পরে মাইকিং করা হয়েছে। এরপর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ জাতীয় আরো খবর ....