সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: যমুনা বিধৌত সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার চরাঅঞ্চলের বাসিন্দারা মোবাইল ব্যবহারে চরমভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, টেলিটক, এয়ারটেলসহ কোন কোম্পানিরই টাওয়ার না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কের কারণে গ্রাহকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার বৃহত্তম কৃষি আবাদি এলাকা চৌহালী উপজেলার এই চরাঞ্চল। এই অঞ্চল বাদাম, তিল, সরিষা মাসকালাইসহ বিভিন্ন ফসলাদির জন্য যেমন উর্বর, তেমনি হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল ও মহিষ পালনের জন্য উপযুক্ত জায়গা।’
এই চরাঞ্চলে রয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মোবাইল ব্যাংকিং ও বীমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এই অঞ্চল নদী মাতৃক হওয়ায় যাতায়াতসহ তেমন উন্নয়ন হয়নি যোগাযোগ মাধ্যমেরেও। টেলিফোন সংযোগ না থাকার দরুণ যোগাযোগের একমাত্র প্রধান মাধ্যম হলো মোবাইল।
কিন্তু চৌহালী উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের মোবাইল গ্রাহকরা মোবাইল যোগাযোগের ক্ষেত্রে চরমভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে বাউশা, ভীনদও, ঘোড়জান ইউনিয়নের বাসিন্দারা মোবাইলে কথা বলতে না পারায় চরমভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে উমরপুর ইউনিয়নের সাথে পাবনার বেড়া হলো যোগাযোগের প্রধান কেন্দ্র। ঘোড়জান ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তীতে রয়েছে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল। স্থানটি অত্র অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরাঞ্চল। নদীর কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকের সমাগম হয়। এখানে ব্যবসার উন্নয়ন হলেও মোবাইল কোম্পানির কোন একটি টাওয়ার না থাকায় চরে অবস্থিত ব্যক্তিরা ফোনে যোগাযোগ ঠিকমত করতে পারেন না। স্থানীয়রা জানান, মোবাইল নেটওয়ার্কের কারণে তারা ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস আদালতে কথা আদান প্রদানের ক্ষেত্রে দারুনভাবে হিমশিম খাচ্ছে। শুধু মোবাইল নেটওয়ার্ক বিভ্রাট হচ্ছে তা নয় ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও নানান অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান,পার্শ্ববর্তী এনায়েতপুর থানা ও শাহজাদপুরে প্রায় সকল মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার রয়েছে, তবে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে এসব টাওয়ার থাকায় চৌহালী উপজেলার চরাঞ্চলের মোবাইল গ্রাহকরা মোবাইল নেটওয়ার্ক পান না। তাই তারা মোবাইলে কথা বলা থেকে শুরু করে ইন্টারনেট ব্যবহার করতেও পারছেন না।
এলাকাবাসী আরো জানান যদি এই অবস্থা চলতে থাকে তাহলে আমরা তথা চৌহালী উপজেলার চরাঞ্চলের বাসিন্দারা ধীরে ধীরে দেশ-বিদেশের সাথে যোগাযোগ স্থবির হয়ে পড়বে এমনকি এক সময় আমাদের এই চরাঞ্চলের উন্নয়ন থুবড়ে পড়বে।’