আলমডাঙ্গা সরকারি স্কুলের সীমানা প্রাচীর নির্মানে বাধা প্রদান করে ব্রাইট মডেল স্কুলের পরিচালক জাকারিয়া হিরো।প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ অনুষ্টিত।
আলমডাঙ্গা ব্যামাগার উদ্ধার কমিটি ও বৈসম্যবিরোধী ছাত্রদের উদ্যোগে আলমডাঙ্গা প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে আলতায়েবা মোড়ে সমবেত হয়ে সমাবেশ করে।সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা ব্যামাগার উদ্ধার কমিটির আহবায়ক ইকবাল হোসেন।আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সহ-সাংগাঠনিক সম্পাদক খন্দকার হাসিবুল ইসলামের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মহি উদ্দিন,রেজাউল ইসলাম,যুবদল নেতা মঞ্জুর রহমান,উপজেলা বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা,উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবাযক সামিমুল হাসান সামি,আলমডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান তন্ময়,যুবদল নেতা নাশির উদ্দিন মুন্নি,যুবদল নেতা ও ব্যামাগার উদ্ধার কমিটির সদস্য এস এম সুলতান তাইফু,ব্যামাগার উদ্ধার কমিটির যুগ্ম আহবায়ক হাজী আজাদ,আলমডাঙ্গা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি যুবদল নেতা ফাহমিদুর রহমান মুন,আরও উপস্থিত ছিল হিমেল,শরিফুল,কালাম,সুজাত,মিলন,সাইফুল,আলামিন,জনি,জুয়েল,সুইট,রাজিব,রিয়েল,প্রমুখ।
ব্যামাগার উদ্ধার কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন বলেছেন প্রশাসন দ্রুত তদন্তপূর্বক স্কুলের পরিচালক জাকারিয়া হিরো তার বড় ভাই সন্ত্রাসি হাসানকে অচিরে গ্রেফতার করতে হবে। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। জাকারিয়া হিরোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আপনি সময় থাকতে দ্রুত ব্যামাগারের জায়গা ছেড়ে দিয়ে আপনার জায়গায় চলে যান,নাহলে আমারা আমাদের ব্যামাগারের জায়গা দখল নিতে বাধ্য হব। উল্লেখ,আলমডাঙ্গার শহীদ মিনারের জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে ব্রাইট মডেল স্কুলের পরিচালক জাকারিয়া হিরো বাধা সৃষ্টি করলে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান তার ঠিকাদার, মিস্ত্রি দিয়ে প্রাচির নির্মান করতে গেলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।সে সময় ছাত্রসমাজ ও সুধিজন প্রতিবাদ করে।পরে তারা বিষয়টি অবহিত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম কে জানালে তিনি থানার ওসির সাথে পরামর্শ করে পুলিশের উপস্থিতিতে নির্মান কাজ করতে বলেন।ওসি মাসুদুর রহমানের সাথে প্রধান শিক্ষক, সহকারি প্রধান শিক্ষক,ক্রীড়া শিক্ষক সহ স্থানীয় ছাত্র ও সুধি সমাজের লোক আলাপ করলে উনি বলেন কারো জায়গা উদ্ধার করার দায়িত্ব আমার না।আমি আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে দেখব।তার কথা শোনার পর প্রধান শিক্ষক সহ অন্যরা আবারও প্রাচীর নির্মান করতে গেলে আবারও হিরো ও তার দলবল নির্মান কাজে বাধা দেয়।এর আগে হিরো তার ছোট ভাইকে হুকুম দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সরকারি ভিজে স্কুলের শিক্ষক হাবিব মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়।আবারও তারা শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরন করে, ঐসময় ছাত্র সমাজের ছেলেরা কাজ করতে মিস্ত্রিকে হুকুম দেয়,সে সময় হিরো ও তার লোকদের সাথে হট্রগোল হয়,সেসময় ধাক্কা লেগে হিরোর মাথা দেয়ালের সাথে লাগলে কিছুটা ফেটে গিয়ে রক্ত ঝরে।তার পর তার বড় ভাই সন্ত্রাসী হাসান ও তার ১০/১২ জন সহযোগী দেশিয় অস্ত্র সস্ত্র হাতে সাংবাদিক হামিদুল আজমের বাসায় হামলা করে।সে সময় তারা আজম ও তার ছেলে বিএনপি নেতা হাসিবুলকে গালিগালাজ কনে এবং হত্যা করার হুমকি দেয়।আজমের বাড়ীর ভীতর প্রবেশ করে চিৎকার করে আজম ও হাসিবকে হত্যা করার জন্য খুজতে থাকে।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১ টার সময় আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশে করে। অন্যদিকে ।বক্তারা বলেন,সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ঠিকার তার মিস্ত্রি নিয়ে কাজ করতে গেলে,
প্রাচীর নির্মাণ কাজে ব্রাইট মডেল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক জাকারিয়া হিরো বাঁধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে হট্টগোলের একপর্যায়ে হিরো মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্ত জখম হয়েছিল।এরই এক পর্যায়ে হিরোর বড় ভাই তার লোকজন সাংবাদিক হামিদুল ইসলাম আজমের বাড়িতে হামলা করে। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটানাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে কয়েক বছর আগে ব্রাইট মডেল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন জাকারিয়া হিরো। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে জোরপূর্বক শহীদ মিনারের জমি দখল করেছেন। এছাড়াও আলমডাঙ্গাবাসীর প্রাণের প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী ব্যামাগারের জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় আলমডাঙ্গার মানুষ তার বিরুদ্ধে বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। গঠন করা হয় ব্যামাগার উদ্ধার কমিটি। উদ্ধার কমিটি, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ছাত্র-জনতা জমি উদ্ধারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। তারা জমি উদ্ধারের জন্য হিরোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলও করেন।
এ ঘটনায় দফায় দফায় বিরোধপূর্ণ জমির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সেনাবাহিনী ও আলমডাঙ্গা থানাপুলিশের উপস্থিতিতে বৈঠক করা হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জমি মাপজোক করে সিমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। ইতোপূর্বে নির্ধারিত স্থানে জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত অর্থে প্রথম ধাপের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরুর প্রথম দিন গতকাল শনিবার স্কুল কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে নির্মাণ কাজে বাঁধা দেন জাকারিয়া হিরো ও তার লোকজন। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনতার সাথে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। চরম হট্টগোল ও হাতাহাতির এক পর্যায়ে জাকারিয়া হিরো দেয়ালে ধাক্কা লেগে রক্তাক্ত জখম হন। পরে হিরোর বড় ভাই হাসানসহ বেশ কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তারা সাংবাদিক হামিদুল ইসলাম আজমের বাড়িতে হামলা করে। আজম ও তার ছেলে হাসিবকে খুঁজতে থাকেন। তারা উত্তেজিত স্বরে তাদের বাপ-ছেলেকে হত্যার হুমকি দেন।
এ ঘটনায় জাকারিয়া হিরোর বিরুদ্ধে সাংবাদিক হামিদুল ইসলাম আজম, শিক্ষক হাবিব,মুন,সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ চার জন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে এ ঘটনার বিষয়ে ব্রাইট মডেল স্কুলের পরিচালক আহত জাকারিয়া হিরো জানান, প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে বেলা ১১ টার দিকে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ উভয় পক্ষকে আলোচনার জন্য থানায় ডাকেন বলে যে কথা বলেছে তা সঠিক নয়।বরং স্কুল কতৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থানায় উপস্থিত হয়েছিল।