আলমডাঙ্গায় মিথ্যা খুনের মামলায় আসামি হওয়ায় লিখিত অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ফিড ব্যাবসায়ী বাবুলার রহমান।গতকাল প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জামজামি ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের তোরাব আলীর ছেলে বাবুলুর রহমান।সে জানায়
খাসকররা ইউনিয়নের রায়সা গ্রামের এস এ হ্নদয় ২৫ বছর পর তার পিতা ও দাদার জোড়া খুনের মামলা দায়ের করল ফিড ব্যাবসায়ি বাবুলারের নামে। বাবুলার রহমান লিখিত অভিযোগে জানান, মামলার বাদী এস এ হৃদয় একজন মৎস্যচাষি। এজাহারে উল্লেখিত ২ নং আসামি ফিড ব্যাবসায়ী বাবুলুর রহমানের সাথে এস এ হ্নদয় দীর্ঘদিন ব্যাবসা করে আসছে। বাবুলের নিকট বকেয়া ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিতে অস্বীকার করে এবং বাপ দাদার হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করবে বলে হুমকি দেয়।এদিকে বাবুলের নামে ঝুলছে কোম্পানির রজু করা অর্থ আত্মসাৎ মামলা।তাই বাবুলুর রহমান এস এ হ্নদয়ের হাত থেকে বাঁচতে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। থানা উভয়পক্ষকে নিয়ে সালিশির মাধ্যমে এস এ হৃদয় কে মাসে ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার অঙ্গিকার নামা লিখিয়ে নেন। কিন্তু একমাস যেতে না যেতে থানার অফিসার বদলী হওয়ার কারনে এস এ হৃদয় টাকা দিতে অস্বীকার করে। নিরুপায় হয়ে বাবুলুর রহমান আদালতে দারস্থ হয়ে মামলা দায়ের করেন।মামলার কোর্ট নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মাথায় এস এ হৃদয় তার দাদু ও বাবার খুন হওয়ার ২৫ বছর পর বাবুলার রহমান কে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
সন্ত্রাসীরা ১৯৯৯ সালের ১৬ জানুয়ারি রাতে তারাবির নামাজের সময় মসজিদ থেকে নামাজরত অবস্থায় তুলে নিয়ে এসে খুন করে দুজনকে।
মামলার আসামি হিসেবে নাম উল্লেখ করা দুজন হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার মধুপুর গ্রামের বাবলুর রহমান ও খেজুরতলা গ্রামের মঞ্জুর আলী।
নিহত শফিউল ইসলামের ছেলে এস এ হৃদয় বাদী হয়ে ২৫ শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা আমলী আদালতে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন বলে শুনেছি।
১৯৯৯ সালে এই জোড়া খুনের ঘটনার সময় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া বাবলুর রহমানের বয়স ছিল মাত্র তের বছর।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লাভলী নাজনীন বাদীর লিখিত অভিযোগ আমলে নেন। তার কাছে আমি ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পাই।এই পাওনা টাকা চাইতে গেলে অস্ত্র দেখিয়ে মৃত্যুর হুমকি দেয়।আওয়ামীলীগ সরকার আমলে হ্নদয় দলীয় শক্তি প্রয়োগ করে আমাকে নাশতার মামলায় আড়াই মাস জেল খাটিয়েছে।আমি বিএনপির সমর্থক হওয়ায় জোরপূর্বক আমার কাছে জমা রাখা চেক কেঁড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছে।আমার নামে ফিড কোম্পানি মামলা করেছে।থানার সালিশ অমান্য করেছে।কোর্টে মামলা করতে গেলে বাবা দাদার খুনের মামলায় জড়াবে বলে হুমকি দিয়েছে।তার পরেও আমি আদালতে দারস্থ হয়ে পাওনা টাকা ফেরত পাবার আশায় মামলা দায়ের করেছি।
এখন সেই মামলা থেকে বাঁচতে এবং আমার পাওনা টাকা না দেওয়ার অজুহাতে আমার নামে খুনের মামলা করেছে।আমি তদন্ত পূর্বক সুবিচার প্রার্থনা করছি উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে।