বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মমলার অপরাপর আসামীরা হলেন- কলীপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জমির উদ্দিন (৪৫), নুরুল মোস্তফা (৪০), কালীপুর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আবু ছৈয়্যদ (৫০), আবু বক্কর (৪০), আবু সালেহ (৩৬), জয়নাল (২৫)।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাঁশখালী থানার ওসিকে এজহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাঁশখালী সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবদুল হামিদের আদালতে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে মামলাটি করেন কালীপুর ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল হক।
বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট তকসিমুল গণি ইমন, অ্যাডভোকেট লুৎফুল হায়দার ও অ্যাডভোকেট আবু নাছেরসহ বিপুল সংখ্যক আইনজীবী।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালীর সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নির্দেশ ও আশ্রয়ে বাঁশখালীর কালীপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা, চাঁদাবাজি, জায়গা জমি এবং বাগান দখলসহ বিরোধী লোকজনের ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
বাদী সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করে বলেন, বিগত ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং এবং ২৫ জুলাই ২০২৪ ইং তারিখে আসামিরা কালীপুরে তার লিচু বাগান দখল করেন। আসামিরা সাবেক এমপির নির্দেশে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার পাশাপাশি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত এই চেয়ারম্যানের ঘরবাড়ি ভাংচুর করেন।
মামলার বাদী নুরুল হক জানান, আসামিরা তাকে বিগত দিনগুলোতে ক্ষমতার জোরে চরমভাবে নির্যাতন করেন। তার সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের একের পর এক মিথ্যা মামলা দেন। তাকে বাড়ি ঘরেও থাকতে দেননি।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট তকসিমুল গণি ইমন জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাঁশখালী থানার ওসিকে এজহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাঁশখালী থানার ওসি তদন্ত শুধাংশু শেখর হালদার জানান, ‘মামলার বিষয়টি শুনেছি। আদালত থেকে আদেশের কপি পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’