জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষেও বাড়িতে হামলা চালিয়ে দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অধ্যক্ষের প্রতিবেশী তার বাড়ি দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
আক্কেলপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবিদা সুলতানা কুইন থানা ও সেনাবাহিনীতে লিখিত অভিযোগ দেন। গেল বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে জেলার আক্কেলপুর উপজেলার কলেজপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তিনি শনিবার (১৭ আগস্ট) আক্কেলপুর থানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দায়িত্বরত সেনাবাহিনী বরাবর তিনটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকি ও মানসিক নির্যাতনে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন।
অধ্যক্ষ আবিদা সুলতানা কুইন জানান, স্বামী মারা যাওয়ায় এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা বাইরে থাকায় পেশাগত কারণে আক্কেলপুর উপজেলার কলেজপাড়ার বাড়িটিতে একাই থাকেন অধ্যক্ষ আবিদা সুলতানা কুইন। গত ১৫ আগস্ট বেলা ৩টার দিকে প্রতিবেশী মোজাহার আলী (৬৮) ও তার ছেলে রাহীর (২২) নেতৃত্বে ১৫-২০ জন দুর্বৃত্ত এসে বাড়িটিতে হামলা ও ভাঙচুর শুরু করেন। হামলাকারী সবাই স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী।
ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ আবিদা সুলতানা কুইন বলেন, পৌরসভার রাস্তা দখল করে আমরা বাড়ি করেছি অভিযোগ করে ২০২৩ সালে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এসিল্যান্ড তদন্ত করে সত্যতা না পেয়ে তা খারিজ করে দেন। কিন্তু বর্তমানে হঠাৎ করে মোজাহার আলী জায়গাটি নিজেদের উল্লেখ করে টাকা দাবি করছেন। এমনকি বাড়ি ভাঙচুর করে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছেন। এ ছাড়া তারা নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এতে মানসিকভাবে আমি ভয় ও শঙ্কায় রয়েছি।
তিনি বলেন, হামলাকারীরা বছরের পর বছর ধরে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে আমাকে হয়রানি করছেন। আমি এটার সুষ্ঠু সমাধান চাই।
অভিযুক্ত মোজাহার আলী বলেন, জায়গাটি মূলত আমাদের। বৈধ কাগজপত্রও আছে আমাদের কাছে। এতদিন তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দখল করে রেখেছিল। আমরা শুধু আমাদের জায়গার দেয়ালের কিছু অংশ ভেঙেছি। এখন বিষয়টি মীমাংসার জন্য থানা দায়িত্ব নিয়েছে।
এ বিষয়ে আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নয়ন হোসেন জানান, অধ্যক্ষ আবিদা সুলতানা কুইনের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।