চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ আহরণ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে বোট ফিশিং করায় বঙ্গোপসাগরের বাঁশখালী চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে রোববার দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে এ সময় মাছ বোঝাই ৪টি বোট আটক, একটি যান্ত্রিক মৎস্য নৌযানে অবৈধভাবে ট্রলিং সিস্টেম বসানোসহ, ১১৫ মণ সামুদ্রিক মাছ জব্দপূর্বক সর্বমোট ১০ লক্ষ ৬ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একই সাথে শেখেরখীল ফাঁড়িরমুখে অবৈধভাবে মশারীর নেট বসিয়ে চিংড়ি পোনা ধরার অপরাধে ৫টি নেট জব্দপপূর্বক পোড়ানো হয়।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তার এর নির্দেশনায় উপজেলা মৎস্য দপ্তর ও কোস্টগার্ড বাঁশখালী এ যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে এ সময় সিনিয়র বাঁশখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্স কমান্ডার মো. মিজানুর রহমান, সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর চট্টগ্রামের পরিদর্শক মো. মনজুর আলম, আব্দুল কুদ্দুস, মেরিন অফিসার সাইফুল ইসলাম, ইনুমেটর মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অভিযানে অবৈধভাবে ফিশিং করায় ৪টি বোট আটক পূর্বক ৪৬০০ কেজি মাছ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাছ থেকে ৫শ কেজী মাছ স্থানীয় ২৩টি এতিম খানায় বিতরণ করা হয়। একই সাথে শেখেরখীল ফাঁড়ির মুখে চিংড়ি পোনা ধরার জন্য অবৈধভাবে বসানো ৫ হাজার মিটার দৈর্ঘ্যের ৫টি মশারী নেট জব্দ করে পোড়ানো হয়। এছাড়া আল্লাহ মালিক নামক একটি যান্ত্রিক মৎস্য নৌযানে অবৈধভাবে বসানো ট্রলিং সিস্টেম ও ট্রলডোর অপসারণ করা হয়। এসময় ওই বোট মালিককে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় পূর্বক মুছলেকা নেয়া হয়।