মামলার আসামিরা হলেন, চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, মিরাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার,বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য চিন্ময় লস্কর ও খোন্দকার মোরাদ আলী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, সদরের মিরাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আগামি ২৮মে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এ নির্বাচনে আনোয়ারুল শেখ একজন অভিভাবক প্রতিনিধি প্রার্থী। তিনি গত ১৭ মে প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটার তালিকা হাতে পেয়ে ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট চাইতে গিয়ে দেখেন প্রায় ৪০জন ভূয়া ভোটার রয়েছে, যাদের নাম ও ঠিকানা ভূয়া। এ নামের কোনো শিক্ষার্থী ওই স্কুলে নেই।
মামলার বাদি মিরাপাড়া গ্রামের অভিভাবক প্রতিনিধি পদপ্রার্থী আনোয়ার শেখ বলেন, প্রধান শিক্ষক তার পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠনের লক্ষ্যে কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে খসড়া ভোটার তালিকা প্রনয়ন করা হয়েছে এবং পরে তা নোটিশ বোর্ডেও টানানো হয়নি বা কোনো প্রকার নিয়ম মানা হয়নি। গোপনে এবং অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে প্রায় ৪০জন ভূয়া ভোটার করিয়েছেন। আমরা এই জাল ভোটার বাতিল করে নতুন ভোটার তালিকা প্রস্তুতের মাধ্যমে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন দাবি করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এস এম সুলতান মাহমুদ বলেন, মামলার বিষয়টি শুনেছি। এখনও কোন কপি বা অর্ডার হাতে পাইনি। এখন পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আদালত সোনানীর মাধ্যমে রায় দিবেন বলে জানান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব হোসেন বলেন, মামলার বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি তবে আদালতের কোনো আদেশ পাইনি।
এ মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, কেন নির্বাচন বাতিল বা স্থগিত হবে না সে মর্মে আদালত আগামি ৩ দিনের মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রিজাইডিং অফিসার, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে আদেশ প্রদান করা হয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ছায়েদুর রহমান মামলা সম্পর্কে বলেন, এখন এটি আদালতের বিষয়,আদালতই সিদ্ধান্ত দিবেন