দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার ১ নং বুলাকিপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে অতি দরিদ্রদের জন্য-২০২৩/২০২৪ অর্থবছরে কর্মসংস্থান
কর্মসূচির (৪০ দিনের) কাজে স্বজন প্রীতির মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ ও দুর্নীতির অভিযোগ জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরিত হয়েছে।সোমবার ১৩ মে বেলা ১১ টার পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫৪ জন শ্রমিকের তালিকায় ৩০ জনকে কাজে উপস্থিত দেখা গেছে। এ ছাড়াও প্রকল্প চেয়ারম্যান ও এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামসুল হক এর ভগ্নিপতি (৭/৮ বিঘা আবাদি জমির মালিক) হবিবর রহমান শ্রমিক তালিকার ১ নং ক্রমিকে রয়েছে। ও-ই ইউপি সদস্যের আপন ছেলে মিঠু মিয়া যার নাম শ্রমিক তালিকার ১০ নং ক্রমিকে রয়েছে,আপন ভাতৃপুত্র মহসিন আলীর নাম শ্রমিক তালিকার ১৩ নং ক্রমিকে রয়েছে,সোহরাব হোসেন ওই ইউপি সদস্যের আপন ভাই যার নাম শ্রমিক তালিকার ১৪ নং ক্রমিকে রয়েছে এবং ইউপি সদস্যের আপন আরেক ভাই মইনুল য়ে ৮/৯ বিঘা আবাদি জমির মালিক, তার নামও শ্রমিক তালিকার ৩৭ নং রুমিকে রয়েছে।উল্লেখ্য কর্মরত শ্রমিকদের বক্তব্যে তারা কখন ঐ কাজে যোগদান করেন না কিন্তু কাজের ভাতা উত্তোলন করে ভোগ করে থাকে।বিষয়টি মুঠো ফোনে
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সদের আলী খন্দকার কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান বিষয়টা আমার জানা নেই তবে আপনি বললেন আমি তালিকাটা দেখে জানাবো।প্রকল্প চেয়ারম্যান তথা ইউপি সদস্য শামসুল হককে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন নামগুলো এবারে আসছে কিন্তু ওদের নামে এবারে বিল করা হবে না। বিজয়টি(প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা) পিআইও ঘোড়াঘাট সুজন বাবুকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে, তিমি বলেন আমি নতুন আসছি তালিকা আমার ভালো জানা নাই তবে এবারে দেখবো। উল্লেখ্য এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলাম নামে ইতিপূর্বে শ্রমিক তালিকায় নাম থাকলেও চলতি প্রকল্পে বিনা কারণে তার নাম সহ কয়েকজনের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।এছাড়াও সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাজেও ইউপি সদস্য মুশফিকুর রহমান এর শাশুড়ি,মেয়ে ও শ্যালিকার নাম রয়েছে। তারা কাজ না করলেও তাদের নামে বিল উত্তোলন করা হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু সজাগ ও কঠোর আইনগত ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।